মানবিকে পড়ে বিজ্ঞান শাখার প্রবেশপত্র পেলেন জয়নাল

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি |

জয়নাল মিয়া দুই বছর ধরে পড়ালেখা করছে মানবিক শাখায়। এবারের দাখিল পরীক্ষায় তার প্রবেশপত্রও আসার কথা ছিল মানবিক শাখার, কিন্তু এসেছে বিজ্ঞান শাখার। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তাই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না এই শিক্ষার্থী। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, আগে প্রিন্ট আউট কপি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। এই ভুল তাদের নয়।

জয়নাল মিয়া নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউপির ঘোষপালা গ্রামের দিনমজুর সিরাজ মিয়ার ছেলে।

সে স্থানীয় ঘোষপালা ফাজিল মাদরাসার মানবিক শাখার নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে ২০২৩ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী। আগামী রোববার সারা দেশে এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। এর আগে বৃহস্পতিবার মাদরাসার অন্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে জয়নাল মিয়াও প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড হাতে পায়। যার রোল নম্বর- ৪০৩৩৭২ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ২০১৮৯৪৫৫২৮। কিন্তু মানবিক শাখার শিক্ষার্থী হলেও উভয় কার্ডে তাকে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘ দুই বছর মানবিক শাখায় পড়ালেখা করার পর বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে জেনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তার। এ অবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সম্ভব হবে না জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে ভুক্তভোগী।

দিনমজুর সিরাজ মিয়া বলেন, ‘আমি গরিব-নিরক্ষর মানুষ। অন্যের বাড়িতে কাজ কইরা খাই। ছেড়াডার (ছেলেটার) ফরম কিলাপের (পূরণ) টেহাডাও (টাকা) জোগাড় করতে পারছি না, পরে আরেকজনে দিছে। অহন হুনতাছি (শুনছি) ছেড়াডা আমার পরীক্ষা দিত পারত না।’

জয়নাল মিয়ার ভাষ্য, গত বৃহস্পতিবার মাদরাসায় গেলে প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড হাতে দেওয়ার আগে তার স্বাক্ষর নেন শিক্ষকরা। তারপর মানবিক শাখার স্থলে বিজ্ঞান শাখা দেখতে পায় সে। তাৎক্ষণিক শিক্ষকদের জানালে এখন তাদের কিছু করাই নেই বলে দাবি করেন।

জানতে চাইলে মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘আগে এসবের প্রিন্ট আউট কপি তাদের দেখানো হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকার পর স্বাক্ষরও নেওয়া হয়েছে। এখন এসব বিষয়ে প্রশ্ন তোলা কি ঠিক? দু-একটি বিষয় পরিবর্তন হলে করে দেওয়া যেত। তবুও চেষ্টা করে দেখি কিছু করা যায় কিনা।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘এর দায়ভার মাদরাসার কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। মাদরাসার সুপারের সঙ্গে কথা বলে দেখি কিছু করা যায় কিনা।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028979778289795