মানসম্মত শিক্ষা এবং আমাদের দায়বদ্ধতা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

শিক্ষা মনকে আলোকিত করে, মানুষের চেহারাসম্পন্ন রক্তমাংসের শরীরটাকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে, ব্যক্তি-সমাজ-দেশের প্রতি দায়বদ্ধ করে তোলে। কিন্তু আমাদের সমাজে নানা ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত এমন সব ঘটনা ঘটছে, যাতে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত এবং এর বাইরে সব ধরনের কর্মক্ষেত্রে অহরহ এমন অসংগতিপূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ঘটে যাওয়া এমন অসংখ্য ঘটনার দু-একটি প্রাসঙ্গিক বিষয় দিয়েই লেখাটি শুরু করতে চাই। যেহেতু আমি একজন শিক্ষক এবং বাস্তব জীবনের চলমান ঘটনাপ্রবাহের মধ্য থেকেই ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করতেই অভ্যস্ত, তাই নিজের খোলসের মধ্য থেকেই লিখতে চাই। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বণিক বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়, ঘটনা ১: কোনো নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া একজন ছাত্রীর মা, যিনি একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, তার মেয়ের ছাত্রী হলে থাকার বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এবং একজন ছাত্রীর মা পরিচয় দিয়ে অনুমতি নিয়ে অফিসকক্ষে প্রবেশ করলে উপাচার্য তাকে বসতে বললেন। কিন্তু তিনি বসতে ইতস্তত বোধ করছিলেন, কারণ তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামান্য একজন শিক্ষক। উপাচার্যের মতো বড় একজন মানুষের সামনে কীভাবে বসেন। বারবার অনুরোধের পরেও তিনি যখন বসছেন না, তখন উপাচার্য বলে বসলেন, ‘আপনি না বসলে তো আমি আপনার কথা শুনতে পারি না। আপনি আমার মেহমান, তাছাড়া আমারই ছাত্রীর মা, এ দেশের একজন সম্মানিত নাগরিক, সর্বোপরি একজন শিক্ষিকা।’ শুনে ভদ্রমহিলা বললেন, ‘আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নগণ্য একজন শিক্ষিকা আর আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, তাই আপনার সামনে আমি কীভাবে বসি।’ অতঃপর  ভদ্রমহিলা চেয়ারে বসলে উপাচার্য তাকে বললেন, ‘আপনিও শিক্ষক, আমিও শিক্ষক। আপনি ভিত গড়েন, আর আমি সেই ভিতের ওপর ইট বসাই। আপনি ভিত গড়ে না দিলে কিসের ওপর আমি ইটগুলো বসাতাম? ভিত মাটির নিচে থাকে, তাই কেউ দেখে না, তাই আপনিই বড়, মহান এবং আমিই বরং নগণ্য।’ উপাচার্যের কথা শুনে শিক্ষিকা কেঁদে ফেললেন এবং বললেন, ‘কেউ আমাকে আমাদের এভাবে কখনো সম্মান দেখায়নি।’

ঘটনা ২: অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রবীণ শিক্ষক কোনো একটি কাজে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের (যিনি একজন অধ্যাপকও) দপ্তরে গিয়ে অনুমতি নিয়ে অফিসকক্ষে প্রবেশ করলে রেজিস্ট্রার তাকে বসতে বললে তিনি একটি ভিজিটর চেয়ারে বসেন। তিনি দেখতে পান আনুমানিক ৫০ বছর বয়সের একজন ভদ্রলোক কিছু একটা সই করানোর জন্য রেজিস্ট্রারের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে বোঝাচ্ছেন। অতঃপর রেজিস্ট্রার কাগজটিতে সই করে দিলে ভদ্রলোক চলে গেলেন। প্রবীণ অধ্যাপক আগ্রহের বশে রেজিস্ট্রারকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভদ্রলোকটি কে?’ রেজিস্ট্রার বললেন, ‘তিনি একজন ছাত্রীর বাবা।’ প্রবীণ অধ্যাপক ভদ্রলোকের প্রাথমিক পরিচয় শুনে রেজিস্ট্রারের আচরণে বিস্মিত হলেন এবং গড়গড় করে বলে গেলেন, ‘আপনি তাকে বসতে বললেন না? আপনার সামনে এতগুলো ভিজিটর চেয়ার কাদের জন্য? শুধু কি সাজিয়ে রাখার জন্য বা আমরা যারা আপনার রুমে আসি তাদের জন্য? আমি জানি না তিনি কী করেন, তবে এটা জানি যে তিনি এ দেশের একজন সম্মানিত নাগরিক ও একজন করদাতা, যাদের করের অর্থে আমার আপনার সবার উদর পূর্তি হয়। যে ছাত্রছাত্রীদের আমরা ক্লাসে পড়াই, তাদের মা-বাবারা কি এতটুকু সম্মান পেতে পারেন না? ওই বাবা যখন তার সন্তানের সঙ্গে এ অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন, তার সন্তান কি অসহায় বোধ করবে না? সে কি ভাববে না যে আমি এমন একটা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করি, যেখানে আমার মা-বাবা সম্মান পাওয়ার যোগ্য নন? ওরা কি আর আমাদের শ্রদ্ধা করবে? ভালোবাসবে? সম্মান করবে? কেনই-বা করবে?’ তিনি আরো বললেন, ‘আমাদের ছাত্রছাত্রীরা কী শেখে যাচ্ছে আমাদের কাছ থেকে? আমরা একদিকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের দায়িত্বশীল, কর্তব্যপরায়ণ, সদাচারী হওয়ার উপদেশ দিচ্ছি, অথচ কার্যক্ষেত্রে কী আচরণ করছি? ছাত্রছাত্রীরা কি আমাদের কপটচারী ভাববে না? শিক্ষকদের কথায় ও কাজে মিল থাকবে—এটাই কি কাঙ্ক্ষিত নয়? শিক্ষকদের দৈনন্দিন আচরণ থেকেই তো ছাত্রছাত্রীরা শিখবে এবং বাস্তব জীবনে তা অনুসরণ করবে। ক্লাসে পাঠদানের বাইরে শিষ্টাচার, ভদ্রতা-ভব্যতা শেখানো কি আমাদের দায়িত্ব নয়? কী শেখাচ্ছি আমরা তাদের? এ শিক্ষা নিয়ে কীভাবে তারা দেশকে ভালোবাসতে শিখবে? দেশের মানুষের সেবা করবে?’ রেজিস্ট্রার প্রবীণ অধ্যাপকের কথা ও প্রশ্নগুলো শুনে নিজের ভুল স্বীকার করলেন এবং ভবিষ্যতে আর এমন ভুল হবে না বলে অঙ্গীকার করলেন।

ঘটনা ৩: একজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের সন্তান ঢাকার কোনো এক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে চূড়ান্ত পরীক্ষাকালীন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় তিনটি পরীক্ষা দেয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সংগত কারণেই বাকি পরীক্ষাগুলো আর দেয়া সম্ভব হয় না তার। বিদ্যালয়ের রীতি অনুযায়ী বিষয়টি লিখিতভাবে শ্রেণীশিক্ষককে জানালে তিনি সহানুভূতি দেখিয়ে আশ্বস্ত করলেন এবং ফল প্রকাশের দুদিন আগে  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করতে বললেন। শ্রেণীশিক্ষকের পরামর্শ অনুযায়ী অধ্যাপক সাহেব তার স্ত্রীসহ প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করতে বিদ্যালয়ে যান এবং অনুমতি নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার অফিসকক্ষে প্রবেশ করেন। প্রধান শিক্ষিকা অধ্যাপক দম্পতিকে বসতে না বলেই দেখা করার কারণ জানতে চান। অধ্যাপক দম্পতি তাদের মেয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষায় সব বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে না পারার কারণ বর্ণনা করে চূড়ান্ত পরীক্ষার তিনটি বিষয় এবং নবম শ্রেণীর আগের পরীক্ষাগুলোয় প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় নিয়ে বিশেষ বিবেচনায় মেয়েটাকে দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা যায় কিনা, সে বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন। শুনেই প্রধান শিক্ষিকা রুক্ষ গলায় বললেন, ‘আমি কী করব? পরীক্ষা দিতে পারেনি, তা আমি কী করব? পরবর্তী ক্লাসে ওঠার ব্যাপারে আমার কিছুই করার নেই।’ অধ্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন এবং সাধারণত যা কখনো করেন না, তা-ই করলেন। অর্থাৎ নিজের পরিচয় প্রকাশ করলেন। তিনি বললেন, ‘আমিও আপনার মতোই একজন শিক্ষক। আমিও পড়াই, পরীক্ষা নিই, মূল্যায়ন করি এবং ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো বিবেচনায় রাখি। শিক্ষক হিসেবে সেটাও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে বৈকি।’ তিনি এও বললেন যে তিনি একটি পাবলিক বিশ্বাবিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেছেন। অধ্যাপকের পরিচয় পেয়ে প্রধান শিক্ষিকা নড়েচড়ে বসলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে অধ্যাপক দম্পতিকে বসতে অনুরোধ করলেন এবং বললেন, ‘আপনার মেয়ে তো  আমার ছাত্রী, আমারও মেয়ে। কোনো চিন্তা করবেন না। আমি ওর বিষয়টা সহানুভূতির সঙ্গে অবশ্যই বিবেচনা করব।’ অধ্যাপক দম্পতি প্রধান শিক্ষিকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বেরিয়ে এলেন। তবে তিনি ভীষণভাবে আহত হলেন এই ভেবে যে অভিভাবক ও মানুষ হিসেবে তার কোনো মূল্য নেই, মূল্য শুধু পদ-পদবির। তাহলে যাদের পদ, পদবি ও অর্থ নেই, তারা কি সেবা পাবে না? তারা তো ওই সাধারণ মানুষের অর্থেই শিক্ষা গ্রহণ করেছে, সেই সুবাদেই চাকরি পেয়েছে এবং এখনো তাদের অর্থেই জীবিকা নির্বাহ করছে।

প্রথম ঘটনাটি কাঙ্ক্ষিত। আমাকে বলতেই হবে ওই উপাচার্য আলোকিত মানুষ। এমন মানুষ তৈরি হয় যে শিক্ষা ব্যবস্থায়, তেমন শিক্ষা ব্যবস্থাই তো আমরা চাই। অন্যদিকে শিক্ষিকা যখন সম্মান পেয়ে কেঁদে ফেলেন এবং অন্যত্র সম্মান না পাওয়ার বেদনার কথা প্রকাশ করেন, তখন ঘটনাটি সমাজের নেতিবাচকতারও ইঙ্গিত করে, যেখানে সমাজ মানুষের প্রকৃত সম্মান জানাতে অক্ষম। মানসম্মত মানবিক শিক্ষা ব্যবস্থাই সমাজকে এ অবস্থা থেকে বের করে আনতে পারে। দ্বিতীয় ঘটনাটি হতাশার হলেও রেজিস্ট্রারের অনুশোচনা আমাদের আশান্বিত করে এবং এখনো সব শেষ হয়ে যায়নি বলে আশা জাগায়। তৃতীয় ঘটনাটি হতাশারই। এ ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় মূল্য শুধু পদমর্যাদার মানুষের নয়। ঘটনাটি আবারো আমাদের শেখ সাদির মানবিক মূল্যবোধ জাগানো সেই অসাধারণ গল্পটির কথা মনে করিয়ে দেয়। ভাবিয়ে তোলে যে কবে আসবে সেই সুদিন, যেদিন আমরা মানবিক সমাজের বসবাস করতে পারব।

আমাদের দেশে বর্তমানে চলমান শিক্ষা, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষার মান ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। একদিকে যেমন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা যে শিক্ষা গ্রহণ করছে, তার সঙ্গে নিয়ত পরিবর্তনশীল বাস্তব জগতের প্রয়োজনের সঙ্গে অমিল লক্ষ করা যাচ্ছে; অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানগুলোয় চলমান কারিকুলামসহ বিরাজমান সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশ শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমিক, মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক হয়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে সাধারণের অনেকেই মনে করছেন। এর আগে বর্ণিত দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঘটনা দুটি সাধারণের এ ধারণাকেই সমর্থন করে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘সব সরকারি কর্মচারীকেই আমি অনুরোধ করি, যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে তাদের সেবা করুন।’ তিনি আরো বলেছিলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। তারা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই। তারা জনগণের বাপ, জনগণের ছেলে, জনগণের সন্তান। তাদের এ মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।’ আমরা কি পেরেছি জাতির পিতার সেই স্বপ্নকে ছুঁতে? উত্তর হচ্ছে, ‘কাছাকাছিও যেতে পারিনি।’ স্বাধীনতার চেতনাসমৃদ্ধ কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাস্তবায়ন হলে হয়তো পারতাম। কিন্তু তা তো বাস্তবায়ন হয়ইনি, এমনকি নতুন কোনো শিক্ষানীতিও বহুকাল প্রণীত হয়নি। অতঃপর ২০১০ সালে আমাদের জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত ও গৃহীত হয়েছে। এ শিক্ষানীতিতেও সংগত কারণেই জীবনযাপনের জন্য আবশ্যকীয় জ্ঞান অর্জনসহ ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে নৈতিক, মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি, মানুষে মানুষে সহমর্মিতা ও সৌহার্দ গড়ে তোলা এবং পেশাগত দক্ষতা অর্জনের কথা বলা হয়েছে। গত দশ বছরে শিক্ষানীতির মৌলিক এ আকাঙ্ক্ষা পূরণে কতটুকু আমরা করতে পেরেছি, সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা যেতেই পারে।

শিক্ষা ব্যবস্থাকে কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতি রক্ষা করে সৃজনশীল, দক্ষ, যোগ্য, দেশপ্রেমিক, মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সর্বাঙ্গীণ সুন্দর মানুষ তৈরি করার লক্ষ্যে সরকার সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক প্রণীত বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক অনুমোদন করেছে, যা বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বাস্তবায়ন করছে। এ ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়ন হলে আশা করা যায় নিজ নিজ ডিসিপ্লিনে প্রাসঙ্গিক জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন, দেশপ্রেমিক, মানবিক মূল্যবোধ ও সেবার দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন মানুষ তৈরি হবে।

প্রত্যাশিত সেই মানুষ তৈরি করার যুদ্ধটা সহজ নয়। এই দুরূহ কাজে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে শিক্ষকসমাজ। প্রত্যাশা করি, তা তারা করবেন এবং তাদের এ কাজ সহজ করতে সরকার, রাজনীতিবিদসহ সব মহল সহযোগিতা করবে।

 

লেখক : ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, সাবেক উপাচার্য, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সদস্য, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025680065155029