করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে সংক্রমণ পরিস্থিতিতে শিল্প-কারখানায় অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে একটি রিটের অনুমতির শুনানির সময় আদালত বলেছেন, মানুষের জীবন বাঁচানোর দায়িত্ব সবার আগে। অক্সিজেন নিয়ে পর্যবেক্ষণ করব।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এদিন আদালতে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান করোনায় অক্সিজেন সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সীমিত সময়ের জন্য দেশের শিল্প-কারখানায় অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে শুধু হাসপাতাল ও মেডিকেলগুলোতে রোগীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহের নির্দেশনায় রিট করতে অনুমতি চাই।
তিনি আরও বলেন, ভারতে করোনাকালে শিল্প-কারখানায় অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ করে শুধুমাত্র হাসপাতাল ও মেডিকেল সেন্টারে সাপ্লাই দিচ্ছে। একইসঙ্গে অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ও হাসপাতালগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনও জানান।
এ সময় জবাবে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আদালতকে জানান, সরকার হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমানে অক্সিজেন সরবরাহের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। দেশে অক্সিজেনের সংকট নেই। কারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত গ্যাসের সাপ্লাই রয়েছে।
তখন আদালত আইনজীবী ইসরাত হাসানের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকার যেহেতু অক্সিজেন সরবরাহের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে ও অক্সিজেনের সংকট নেই বলে জানালো তাই আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। মানুষের জীবন বাঁচানোর দায়িত্ব সবার আগে। প্রয়োজন হলে আদালত অবশ্যই বিষয়টি দেখবে।
এ বিষয়ে ইসরাত হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আমি জনস্বার্থে অক্সিজেনের সংকট দূর করার নির্দেশনা চেয়ে আদালতে রিটের অনুমতি নিতে মৌখিক আবেদন জানাই। কোনো রিট ফাইল করার আগে কোর্টের অনুমতি নিতে হয়। এজন্য অনুমতি নিতে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কোর্ট আমার বক্তব্য শুনলেন। রাষ্ট্রের পক্ষের বক্তব্য শুনলেন। রাষ্ট্রপক্ষ যখন বলল ‘সরকার হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সর্বাত্ত্বক চেষ্টা করছে। অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই।’ তখন আদালত বললেন বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করব। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে এ বিষয়ে রিট করবেন।