বিচারক ও আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, সেবাপ্রার্থীরা আমাদের বাবা, চাচা, খালু নয়। তাদের কষ্টের কথা ভেবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সহজেই যাতে মামলা ডিসপোজাল (নিষ্পত্তি) হয়, সেই চেষ্টা করুন। আমরা আদালতের বারান্দা থেকে যদি একদিন আগেও কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারি, তাহলে তিনি স্বস্তি পাবেন।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘৩০ লাখ মানুষ রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন। তাদের রক্তের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। যেভাবেই হোক রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে হবে। বিচার বিভাগকে গতিশীল করতে হবে। মানুষ যদি বছরের পর বছর আদালতের বারান্দায় ঘোরে, যদি ন্যায়বিচার না পায়, তাহলে ওই ব্যক্তি যদি বলে এদেশে বিচার-আচার নাই, সেটা কি অন্যায় হবে?’
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু মর্ত্তুজা ছোটর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম, স্পেশাল জেলা জজ সামছুল হক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম কবীর, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদা জাহাঙ্গীর, জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার প্রমুখ।
এর আগে সকালে জেলা জজ আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এরপর তিনি আদালত চত্বর একটি জলপাই গাছের চারা রোপণ করেন।