মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ছেলে হান্টার আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম ক্ষমতায় থাকা একজন প্রেসিডেন্টের সন্তান কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন বন্দুক কেনার সময় মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার রাজ্য আদালতের জুরিরা মঙ্গলবার এই ফৌজদারি মামলার তিনটি অভিযোগেই হান্টারকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছে। তার সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম ক্ষমতায় থাকা একজন প্রেসিডেন্টের সন্তান কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন। বিচারক হান্টার বাইডেনের সাজা ঘোষণার কোনও দিন নির্ধারণ করেননি। তবে সাধারণত ১২০ দিনের মধ্যে সাজা ঘোষণা করা হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।

গত ৩ জুন ডেলাওয়ারের ফেডারেল আদালতে হান্টারের বিচার শুরু হয়। আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মিথ্যা বলা এবং মাদকাসক্ত হয়েও আগ্নেয়াস্ত্র রাখা সংক্রান্ত তিন অপরাধে গতবছর অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে ডেলাওয়ারের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল, আগ্নেয়স্ত্রের লাইসেন্সের আবেদনে হান্টার বলেছিলেন, তিনি আগ্নেয়াস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারকারী নন। কোনও মাদক বা উত্তেজক দ্রব্যেও আসক্ত নন। অথচ তিনি জানতেন, এর সবই মিথ্যা।

২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে ডেলাওয়ারের বন্দুকের দোকানে কোল্ট রিভলবার কেনার সময় হান্টার ওই মিথ্যা তথ্য দেন। তিনি ১১ দিন বন্দুকটি নিজের কাছে রেখেছিলেন।

তবে হান্টার আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন।

মঙ্গলবার আদালত হান্টারকে দোষী সাব্যস্ত করার পর তার বাবা জো বাইডেন একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, তিনি মামলার রায় মেনে নিয়েছেন এবং বিচার প্রক্রিয়াকে সম্মান করবেন। হান্টার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা ভাবছেন বলেও জানান তিনি।

৮১ বছর বয়সী জো বাইডেন যখন দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণ চালাচ্ছেন, ঠিক সে সময়ই তার ছেলের বিচারের এই রায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য সুবিধা বয়ে আনতে পারে।

রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিষয়টিকে কাজে লাগাতে করতে পারে ট্রাম্পের রিপাবলিকান শিবির। তারা এর ফলে ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দিক থেকে মানুষের মনোযোগ সরানোর সুযোগ পেয়ে যেতে পারে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024950504302979