যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের মেধাবী শিক্ষার্থী সোমা রায় (২৬)। মরণব্যাধি ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার জন্য ৭-৮ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করতে পারছেন তার অস্বচ্ছল পরিবার। সোমার বাবা শহরের একটি সুপার শপে সামান্য বেতনে চাকরি করেন। মা সবিতা রায় গৃহিণী। তিনিও অসুস্থ। আর একমাত্র ছোট ভাই এবার এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়েছে। সোমার পরিবার চিকিৎসার জন্য এত টাকা সংগ্রহ করতে না পারায় সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছে। মানুষের সহযোগিতা পেলে এই শিক্ষার্থী জীবনটা ফিরে পাবেন। সংসারের হাল ধরতে পারবেন।
জানা যায়, যশোর শহরের বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোড এলাকার বাসিন্দা অশোক রায় ও সবিতা রায় দম্পতীর একমাত্র মেয়ে সোমা রায়। পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত হোম টিউটর, দক্ষ কম্পিউটার প্রশিক্ষক এবং গ্রামীণ ফোন কাস্টমার কেয়ারে চাকরি নিয়ে সংসারের হাল ধরেছিলেন। সোমার ইচ্ছা ছিল একজন আদর্শবাদী শিক্ষিকা হয়ে সমাজকে বদলে দেয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্নভঙ্গের উপক্রম। তিনি মারণব্যাধি ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। সংগ্রামী সোমা রোগাক্রান্ত হওয়ায় তার পরিবার, সহপাঠীদের মাঝে নেমেছে বিষাদের ছায়া। তার জন্য দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন তার স্বজন ও সহপাঠীরা। যশোর-খুলনা চিকিৎসা শেষ করে বর্তমানে বাড়িতেই ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, দ্রুত অপারেশন করালে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভারতে নিতে চায়। এজন্য প্রয়োজন ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা।
তার বাবা অশোক রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নিজেরা নিরক্ষর হলেও দুই ছেলে মেয়েকে শিক্ষিত করেছি। তাদেরকে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল। সোমা পড়াশুনা মেধাবী। সে সংসারের হাল ধরেছিল। হঠাৎ তার অসুস্থতা সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমান হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অসুস্থতা নিয়ে মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছে। গত মাসে হঠাৎ করেই আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে তার মরণব্যাধি ব্রেন টিউমার। বিভিন্ন জায়গায় তার চিকিৎসায় চিকিৎসকেরা জানিয়েছে দ্রুত অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। এতে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা লাগবে। কিন্তু আমার কাছে এতো টাকা সংগ্রহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সোমাকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করছি।
সোমাকে সহযোহিতায় তার বাবা আশোক রায়ের সাথে (০১৯২৬৯৪৫৪৭৫) যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে তার পরিবার।