কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় মায়ের কুড়ালের আঘাতে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত মাকে আটক করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
সোমবার (২৪ জুন) সকালে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম খাদিজা নূর (১৪)। তিনি নলুয়া চাঁদপুর পশ্চিমপাড়া হাওলাদার বাড়ির জুলহাস মিয়া ও অভিযুক্ত খুরশিদা বেগম দম্পতির সন্তান। স্থানীয় নলুয়া চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীও তিনি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, খুরশিদা বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন। হঠাৎ মেয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গিয়ে দেখে বাড়িতেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে খাদিজা নূর। তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুড়ালের কোপের চিহ্ন রয়েছে। কুড়ালও পড়ে ছিল পাশে। এ ঘটনার পর জ্ঞান হারিয়ে ঘরেই পড়ে ছিলেন মা খুরশিদা। তাছাড়া তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই সবাই ধারণা করছে, হয়তো তিনিই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
নিহত খাদিজা নূরের বড় ভাই আব্দুল কাদের রুবেল বলেন, আমার মা মানসিক ভারসাম্যহীন। আমার মাকে অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে। একজন আমার মা, আরেকজন আমার বোন। এখন আমি কাকে অভিযোগ করব? আমাদের কারও কোনো অভিযোগ নেই।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম বলেন, ঘটনাস্থলে এসে যা শুনলাম ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এটা আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়। লাশ থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে সব তথ্য নোট করে নিলাম। মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তাকে চিকিৎসা জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তবে আমরা যতটুকু জানতে পারলাম মা মানসিক ভারসাম্যহীন। লাশ পোস্টমর্টেম করার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। সব কিছু মিলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।