সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় মায়ের লাশ ঘরে রেখে কান্নাভেজা চোখে এসএসএসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ঝুমা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী।
আজ রোববার বেলা ১১টায় উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে কৃষিশিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা দেয় সে।
এর আগে সকাল সাতটার দিকে তার মা পারভিন বেগম (৫০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ঝুমা আক্তার উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের চক-কাচিমপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে। উপজেলার কেশবপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে সে।
পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মায়ের লাশ ঘরে রেখে কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষাকেন্দ্রে যায় ঝুমা। এ দৃশ্য দেখে অনেকেই তাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। আমিও তাকে মন শক্ত করে পরীক্ষা দিতে বলেছি।’
জানতে চাইলে জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষক গোবিন্দ রায় বলেন, ‘বেলা ১১টায় পরীক্ষায় অংশ নেয় ঝুমা। তার মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা সহমর্মী ছিলাম। হলে তাকে মানসিকভাবে শান্ত ও শক্ত থাকতে বলেছি।’
খবর পেয়ে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর কাছে গিয়ে তাকে সান্ত্বনা দিয়েছি। সাহস জোগানোর চেষ্টা করেছি।’