মিজানুর রহমান খান আমার কাছে বৃটিশ মূলধারার সাংবাদিকদের মতো মনে হতো। আমি বলতাম, বাংলাদেশের রবার্ট ফিস্ক। পশ্চিমা বিশ্বের ঝানু সংবাদিক রবার্ট ফিস্ক ছিলেন আমার একজন অনুপ্রেরণা। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং পশ্চিমা পররাষ্ট্র নীতির যথার্থ সমালোচনা করায় সব সময় তিনি আলোচনায় থাকতেন। তার প্রতিটি প্রতিবেদন মনযোগ সহকারে পড়তাম। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক তার সংবাদগুলো বেশ আস্তার সাথে গ্রহণ করেছি। ২০০৫ সালে নিউইয়র্ক টাইমস তাকে ‘বৃটেনের খুব সম্ভবত সবচেয়ে খ্যাতিমান বিদেশ প্রতিবেদক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। বাংলাদেশে যে ক‘জন প্রতিভাবান সাংবাদিককে সবসময় হৃদয় দিয়ে দেখি, মিজানুর রহমান খান তাদের অন্যতম।
তার সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে আছে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়। রাজনীতি ও সংবিধান বিষয়ে তার মেধা ও পাণ্ডিত্যে আমি বিস্মিত হতাম। যেকোন বিষয়ে লেখার আগে প্রচুর পড়াশুনা করতেন। পছন্দের মানুষের সাথে বিষয় ভিত্তিক পর্যালোচনা করতেন। আলোচনাকালে ভিন্নমত গ্রহণ করতে কোনো সংকুচতা ছিল না। প্রাণখুলে কথা বলতেন তিনি। বড় প্রাণভরে হাসতেন। হাসি যেন ঠোঁটে লেগেই থাকতো। মহান অল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসে এভাবে হাসি-আনন্দে রাখেন।
সহজ সাধারণ আবরণের মধ্যে লুকিয়ে থাকা একজন কিংবদন্তি সাংবাদিক ছিলেন মিজানুর রহমান খান। আজ থেকে ২৮ বছর আগে তার সাথে প্রথম দেখা হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। প্রখ্যাত সাংবাদিক, জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি গিয়াস কামাল চৌধুরীর সাথে। সেদিন পাকিস্তান আমলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে কথাবার্তা চলছিল। গিয়াস কামাল চৌধুরী অবিভক্ত পাকিস্তানের শীর্ষ দৈনিক ডন পত্রিকায় কাজ করেছেন দীর্ঘকাল। তাই নিজের অভিজ্ঞতার কথাই বলছিলেন তিনি, অনেকটা স্মৃতিচারণের মতো। পাশেই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ার। তিনিও দৈনিক ডনে কাজ করেছেন।
আমি তখন সিলেট প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য। হাসান শাহরিয়ার সিলেটি হিসেবে আমাকে জানেন। তবে গিয়াস কামাল ছিলেন আমার পারিবারিক অভিভাবকের মতো। তাকে আমি বার বার সিলেটে নিয়েছি আমাদের সাহিত্য-সাংবাদিকতার অনুষ্ঠানে। ১৯৯৩ সালে সিলেট প্রেসক্লাবে আমাদের অভিষেক অনুষ্ঠানেও তিনি অতিথি ছিলেন। বিশেষ করে তার চিকিৎসার স্বার্থে লন্ডন হাই কমিশনে নিযুক্তির বিষয়ে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মাধ্যমে ব্যবস্থা করতে পেরে আমি আজও অন্তরে স্বস্তি অনুভব করি।
প্রেসক্লাবে আমাদের প্রথম পরিচয়ের দিন মিজানুর রহমান খান প্রসঙ্গক্রমে সংবিধান নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের সংবিধান লংঘন ও ১৯৯১ সালের নির্বাচন নিয়ে আলোকপাত করেছিলেন। তখন তার দারাজ কণ্ঠে কথা বলার ধরণ দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছিল। তিনি প্রসঙ্গক্রমে বলছিলেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেলো বিএনপি ১৪০ আসনে জয়লাভ করলেও আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছিল ৮৮ আসনে।
নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা নির্বাচনে 'সূক্ষ্ম কারচুপির' অভিযোগ এনেছিলেন। সে নির্বাচনে ড. কামাল হোসেন পরাজিত হয়েছিলেন। তবে মিডিয়ায় তিনি বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এমনকি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেয়া এক চিঠিতেও একই কথা বলেছেন। ড. হোসেন নির্বাচনে পরাজয়ের পেছনে দলীয় কোন্দল এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন। এর ফলে তার এবং শেখ হাসিনার মধ্যকার দূরত্ব অনেকটা প্রকাশ্য হয়ে উঠে।
আমি সেদিন মিজানুর রহমান খানের বিশ্লেষণ যুক্ত করে এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছিলাম। আর এভাবেই তার সাথে আমার এক ধরণের সখ্যতা গড়ে ওঠে। এরপর বিভিন্ন সময়ে অনেক বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে সিলেট ও প্রবাসীদের নিয়ে কিছু লিখলে তিনি আমার সাথে শেয়ার করতেন। যুক্তিতর্ক করতাম আমরা দুজনে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, আমাদের স্বতন্ত্র জাতিসত্তা এবং বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের প্রশ্নে মিজানুর রহমান খান ছিলেন বরাবর আপসহীন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গত বছর তিনি বেশ ঘাটাঘাটি করেছেন। মার্চ মাসে বৃটিশ লাইব্রেরি থেকে অনেক তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে আমি তাকে দিয়েছি। পরে ‘বৃটিশ নথিতে মুজিব’ শীরোনামে প্রথম আলোয় দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছেন বলে জানিয়েছেন।
মানবজমিনে মিজানুর রহমান খানের অসুস্থতার খবর দেখে তাকে নিয়ে একটা লেখা তৈরী করেছিলাম। বিবিসি বাংলায় কর্মরত আরেক প্রতিভাবান সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের সাথে কথা বলে তিনি ভাল আছেন কিনা জেনেছি। কারণ দুই মিজানই দেখতে প্রায় সমান, লেখেন ভাল এবং আমাদের পরিচিত। কিন্তু লেখাটি ছাপার আগে তিনি চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে।
আমাদের সিলেটের কৃতি সন্তান আমার অত্যন্ত আপনজন জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর সাথে মিজানুর রহমান খান বেশ ঘনিষ্ট ছিলেন। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা হয়। আয়োজনটা মূলত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য চিন্তা করা হয়েছিল। জামিলুর রেজা চৌধুরী তখন এই উদ্যোগের মূখ্য ব্যক্তিত্ব। বৃটিশ-বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের (বিবিঅইএস) রেক্টর এবং লেখক-সাংবাদিক হিসেবে তিনি আমাকে জানেন এবং মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ব্যাপারে পরামর্শও দেন।
বিবিআিইএস এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের বিষয়ে আলাপের জন্য যেদিন আমি তার সাথে সাক্ষাৎ করি, সেদিন ঘটনাচক্রে মিজানুর রহমান খান সেখানে ছিলেন। আমার প্রস্তাবে জামিলুর রেজা চৌধুরী কিছুটা তাজ্জব হয়ে যান। মি. খান তখন আমার পক্ষে সায় দিয়েছিলেন। অনেক আলোচনা ও যুক্তি উপস্থাপনের পর জামিলুর রেজা চৌধুরী রাজি হন। পরে তাদের নির্দিষ্ট ফোরামে বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ফলে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং স্কুল ও কলেজের প্রতিযোগিরা অংশ গ্রহণের সুযোগ পায়। এক্ষেত্রে অবশ্য তৎকালীন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের বিশেষ ভূমিকাও রয়েছে।
আমরা তাতে বেশ সফল হই। তখনকার জাতীয় দৈনিক সমূহে প্রকাশিত প্রতিবেদন সমূহে উল্লেখ করা হয়, প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী সবচেয়ে ক্ষুদে প্রোগ্রামারদের দলটি ছিল সিলেট থেকে বৃটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নাবিল ইকবাল, ইয়াসমীন ইকবাল এবং রিসালাত রাশেদের গড়া দলটি। এই দল সমস্যার সমাধান করে ১৩তম স্থান অধিকার করে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে। এই ক্ষুদে প্রোগ্রামাররা অনেক নামী-দামি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটের টিমকে লজ্জায় ফেলেছে তাদের পারফর্মেন্স দেখিয়ে। প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবিআইএস ৫ম এবং ১৫০টি টিমের মধ্যে সমস্যা সমাধানের দিক থেকে বিবিআইএস ১৩তম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১৪তম এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ১৮তম হয়েছিল।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে মিজানুর রহমান খান মেয়র নির্বাচনের প্রাক্কালে সরেজমিন রিপোর্ট করার জন্য সিলেট সফর করেন। ২৫ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত ঘুরেছেন সর্বত্র। ২৮ জুলাই নির্বাচন প্রচারণার শেষ দিনের আগের দিন পুলিশ বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সচিব বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে তিনি সিলেটের পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া ও জেলা প্রশাসকের সাথে যেভাবে কথা বলেছেন, তা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। অবশ্য সিলেটে নবাগত জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান তখন সিলেটবাসীর অহিংস জীবনাচারে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা উভয়ে স্বীকার করেছেন, রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও সভ্যতা-ভব্যতার দিক থেকে সিলেট দেশের অন্যান্য স্থানের থেকে এখনো স্বর্গ। সিলেট হতে পারে উত্তেজনামুক্ত স্থানীয় শাসনের রোল মডেল।
সারা দেশে সংখ্যালঘুরা নৌকার ভোটব্যাংক বলে যে ধারণা প্রায় স্বতঃসিদ্ধ, সিলেটে তারও অন্যরূপ দেখে মিজানুর রহমান খান বিস্মিত হন। প্রায় অর্ধেকের বেশি হিন্দু ভোটার থাকা স্বত্বেও সিলেট শহরের দাঁড়িয়াপাড়া ওয়ার্ডে এক জামায়াত নেতা দু‘বার সংখ্যালঘু প্রার্থীকে হারিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। এসব তিনি পরে প্রথম আলোয় লিখেছেন। নির্বাচনী প্রচারকালে পুলিশ প্রশাসনের কয়েকটি গ্রেফতারের ঘটনা যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ভাবমূর্তির জন্য সহায়ক হয়নি, তাও তিনি সাহসের সাথে তুলে ধরেছেন।
মিজানুর রহমান খান সিলেটে সংখ্যালঘু, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও প্রবাসী ভোটব্যাংক নিয়ে আমার সাথে অনেক গবেষণা করেছেন। তিনি বলেছিলেন, আমাকে না পেলে সিলেটের মানুষের আধ্যাত্মিকতা, স্বার্থহীনতা, বৃটেন সহ ইউরোপীয় সংস্কৃতির প্রভাব, এমনকি সিলেটি নাগরি লিপি ইত্যাদির গভীরে যাওয়া হতো না।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে খাদিজাকে নিয়ে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার রায় বিষয়ে মিজানুর রহমান খান আমার সাথে অনেক পর্যালোচনা করেছেন। রায়টি হয়েছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবসে। বিচারক বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বহুল উচ্চারিত পঙ্ক্তিমালার আশ্রয় নিয়েছিলেন। ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর’। খাদিজার প্রতি বদরুলের প্রেমের দাবি প্রসঙ্গে বিচারক বলেছিলেন, ‘মানবমানবীর মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা চিরন্তন। অন্যথায় পৃথিবীর পথচলা থেমে যেত। প্রেম-ভালোবাসায় মিলন-বিরহ থাকবেই। প্রেম বিরহে বা প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হলে এহেন পৈশাচিক, নৃশংস আচরণ মোটেই কাম্য ও আইনসমর্থিত নয়।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে গুম বিষয়ে বৃটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান ও ইনডিপেনডেন্ট-এর একটি রিপোর্ট নিয়ে তিনি আমার সাথে বারবার কথা বলেছেন। তারও আগে জুন মাসে বৃটেনের হাউস অব কমন্স নির্বাচন নিয়ে বিষদ আলোচনা করে ‘ব্রিটিশ নির্বাচন থেকে বাংলাদেশ কী নেবে?‘ শীরোনামে চমৎকার নিবন্ধ লিখেছেন।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে তারেক রহমান যখন বাংলাদেশ হাইকোর্টে দণ্ডিত হন, তখন তাকে ফিরিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা ও বৃটেনের এবিষয়ে আইনী ও রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে তিনি আমাকে একটু খোঁজ খবর নিতে অনুরোধ করেন। আমি তখন তাকে বলেছিলাম, এটা হবে না। তিনি প্রথমে আমার সাথে একমত হতে পারেননি। ফলে আমি তাকে অনেক তথ্য সরবরাহ করেছিলাম। ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি তারেক রহমানের প্রত্যর্পণের বিষয়ে হাউস অব কমন্স একটি নোট প্রকাশ করেছিল। তখন পর্যন্ত তাকে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে অনুরোধের কোনো প্রমাণ নেই। মূলত ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টম্বের থেকে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। ২২ জুলাই এবিষয়ে মিজানুর রহমান খান একটি রিপোর্ট করেছিলেন। পরে তিনি আমাকে একান্ত ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
মিজানুর রহমান খান লন্ডনের ইস্টার্ন আই পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তখন সিলেটবাসীর খবরে তার বেশ আগ্রহ ছিল। বাংলাবাজার, মুক্তকণ্ঠ, যুগান্তর ও প্রথম আলোয় সে ধারাবাহিকতা তিনি রক্ষা করেছেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে মিজানুর রহমান খান অনেক বিষয় কাভার করেছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে সম্ভবত তিনিই সবচেয়ে বেশি ও ভালো প্রতিবেদন করেছেন। কিন্তু প্রাণঘাতী কোভিডই নিয়ে গেল অন্তপ্রাণ এই মানুষকে। তার মতো মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন, ঔচিত্যবোধসম্পন্ন, সৎ ও সংবেদনশীল মনের মানুষ একালে বিরল। বহু মানুষের অসীম ভালোবাসায় তিনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন।
লেখক : সাঈদ চৌধুরী
সূত্র: মানবজমিন