যদি আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল আভা দেওয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপায় খোঁজেন তবে মিষ্টি আলু একটি কার্যকরী খাবার হতে পারে। এতে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। ত্বকের শুষ্কতা দেখা দিলে বা উজ্জ্বলতা নষ্ট হতে শুরু করলে খাবারের তালিকায় মিষ্টি আলু যোগ করে নিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি আলু খেলে ত্বকের কী উপকার হয়-
১. কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়
মিষ্টি আলু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা কোলাজেন উৎপাদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। কোলাজেন হলো সেই প্রোটিন যা ত্বককে দৃঢ়, মসৃণ এবং স্থিতিস্থাপক রাখে। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২০-৭০ বছর বয়সী ১,১২৫ জন অংশগ্রহণকারীর (যাদের মধ্যে ৯৫% নারী) ওপর করা ১৯টি গবেষণার পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, হাইড্রোলাইজড কোলাজেন প্লাসিবো চিকিৎসার তুলনায় ত্বকের হাইড্রেশন, স্থিতিস্থাপকতা এবং বলিরেখা কমিয়েছে। মিষ্টি আলু নিয়মিত খেলে তা ত্বকের গঠনে সহায়তা করে এবং বলিরেখা কমাতে কাজ করে।
২. ইউভি ক্ষতি থেকে রক্ষা করে
মিষ্টি আলুর কমলা রঙ বিটা-ক্যারোটিন থেকে আসে, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত করে। ত্বক মেরামত এবং পুনর্জন্মের জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য। বিটা-ক্যারোটিন ত্বককে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, রোদে পোড়া এবং দীর্ঘমেয়াদী ত্বকের ক্ষতির ঝুঁকি কমায়। খাদ্যতালিকায় মিষ্টি আলু যোগ করে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে ত্বকের প্রতিরক্ষা বাড়াতে পারেন।
৩. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
মিষ্টি আলুতে থাকা ভিটামিন এ এবং বিটা-ক্যারোটিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ ত্বকের কোষের পরিবর্তন বৃদ্ধি করে, যা কালো দাগ এবং পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। খাবারের তালিকায় নিয়মিত মিষ্টি আলু রাখলে তা ত্বকের উজ্জ্বল আভা বৃদ্ধি করে।
৪. ত্বককে হাইড্রেট করে এবং পুষ্টি দেয়
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পানি থাকে, যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, মিষ্টি আলুতে প্রচুর পটাসিয়াম রয়েছে, যা শরীরে তরল মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় মিষ্টি আলু রাখলে তা ত্বককে প্রাণবন্ত এবং উজ্জ্বল থাকার জন্য প্রয়োজনীয় হাইড্রেশন প্রদান করতে পারে।
৫. প্রদাহ কমায়
আপনি কি জানেন যে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ এবং জ্বালার কারণ হতে পারে? অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের উচ্চ উপাদানের কারণে মিষ্টি আলুতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই যৌগগুলো প্রদাহ শান্ত করতে এবং স্বাস্থ্যকর ত্বককে উন্নীত করতে সহায়তা করে। মাল্টিডিসিপ্লিনারি ডিজিটাল পাবলিশিং ইনস্টিটিউট (এমডিপিআই) গবেষণা অনুসারে, মিষ্টি আলুর নির্যাস প্রদাহের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে তা ত্বকের ফ্লেয়ার-আপ কমাতে সাহায্য করে।