দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ১২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৩ জন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন। এদর মধ্যে একজন প্রধান শিক্ষকসহ অন্যরা সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েগুলোতে শিক্ষকতা চাকরি করে আসছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে চলতি দায়িত্বে থাকা উপজেলা শিক্ষা অফিসার এমকেএ জিন্নাত আলী জানান, কাহারোল উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধার কোটায় একজন প্রধান শিক্ষকসহ ৪৩ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি, নাতনিরা গত ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে থেকে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার কোটায় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা চাকরি করছেন।
এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধার কোটায় আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চাকরি পাওয়াদের তালিকা প্রেরণ করার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশাসন-২ অধিশাখা, বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা থেকে গত ২২ আগস্ট উপসচিব ড. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়।
এর কারণ হলো উপজেলায় সরকারি চাকরিতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ প্রাপ্ত জনবলের পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানাতে হবে। কাহারোল উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ছক আকারে পাঠানো হয়েছে। এতে দেখা কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার কোটায় ৯ জন পুরুষ শিক্ষক ও ৩৪ জন নারী সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন বলে জানান তিনি।