কুড়িগ্রামের উলিপুরে বেসামরিক গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের সময় দুই রাজাকারকে চিহ্নিত করেছে কমিটি। এ দুজন রাজাকার হলেন মোন্তাজ আলী ও মৃত ওসমান আলী। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) পাঠানো তালিকায় মৃত ওসমানের নাম ৬ নম্বরে ও মোন্তাজ আলীর নাম ৭ নম্বরে রয়েছে। তারা নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেতেন।
যদিও তৎকালীন জেলা প্রশাসকের রাজাকারের তালিকায় তাদের রাজাকার হিসেবে যোগদানের তারিখ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ অক্টোবর উল্লেখ আছে।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজাকার মোন্তাজ ৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে উপস্থিত জামুকার বিশেষ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইলামের জেরার মুখে তারা স্বীকার করেন, মোন্তাজ তাদের সাথে যুদ্ধে অংশ নেন নাই। তখন ওই মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকারে পক্ষে সাক্ষ্য দিতে আসার জন্য ভৎসনা করা হয়। এরপর রাজাকার মোন্তাজকে যাচাই-বাছাইস্থল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন যাচাই-বাছাই কমিটি।
মৃত রাজাকার ওসমানের পক্ষে তার ওয়ারিশ ফরম জমা দিতে এলে তিনিও জেরার মুখে সাক্ষ্য দিতে পারেন নাই।
এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। রাজাকার মোন্তাজ আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তিনি রাজাকার ছিলেন। এরপর তিনি আত্মসমর্পন করেন এবং পক্ষ বদল করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তবে, তার এ বক্তব্যের স্বপক্ষে কোনো সাক্ষ্য আনতে পারেন নাই তিনি।
এ ব্যাপারে যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-এ-জান্নাত রুমি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কমিটি বসে আরো অধিকতর সত্যতা যাচাই করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এরা দুজন আত্মস্বীকৃত ও তালিকাভুক্ত রাজাকার। এখানে তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় থাকার কোনো সুযোগ নাই। এতোদিন তারা কিভাবে বেসামরিক গেজেটভুক্ত ছিল সেটাই বিস্ময়।