বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মাসিক সম্মানী ভাতার অংক প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ '৭১ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় আট দফার মোড়কে এক গুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়। যেগুলোর অন্যতম হলো- বাংলাদেশের মাটিতে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের ঘাতক দোসরদের সংগঠিত নিষ্ঠুরতম গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়। ফোরামের আর একটি উল্লেখযোগ্য দাবি হলো- মুক্তিযুদ্ধের প্রধান বন্ধু রাষ্ট্র ভারতীয় মিত্র বাহিনীর যে সব সৈনিক বাংলাদেশের স্বাধীনতার রণাঙ্গনে জীবন দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। তিনি বলেন, শিগগিরই দাবিগুলো তথ্য-উপাত্তসহ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হবে।
তাদের দাবির মধ্যে আরো রয়েছে- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশিলবদের চিহ্নিত করতে অবিলম্বে একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন ও তদন্তের ফলাফল শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে যুগ যুগ ধরে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশের সব অঞ্চল ও প্রধান প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র এবং বধ্যভূমিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ’ নির্মাণ, বাংলাদেশের সংবিধানে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ’ ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দগুলোর সংযোজন করার পাশাপাশি জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ‘ভিআইপি’ মর্যাদা নিশ্চিত করা, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের নিকট সদস্যদের জন্য সরকারি খরচে অগ্রাধিকার ভিত্তিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা, জাতির পিতার হাতে তৈরি ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের মূল সংবিধান পুনরুদ্ধার করা এবং দেশের গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক অগ্রযাত্রার স্বার্থে সংবিধানের মূল নীতি বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ দলকে নিষিদ্ধ করা।
সেই সঙ্গে দেশের সব অঞ্চলে বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিকৃত ইতিহাস সরবরাহ করা, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নতুন প্রজন্মের মানুষের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ঢাকাসহ বড় শহরের নিকটবর্তী স্থানে স্থায়ী মুক্তিযোদ্ধা সমাধিক্ষেত্র নির্মাণ।এছাড়াও বাইরের হস্তক্ষেপে পরিহার করে বাংলাদেশের সব অভ্যন্তরীণ সংকটের সমাধান অবশ্যই দেশের ভেতর থেকে করার দাবি জানায় সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম।
সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ, মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আলী শিকদার, সাবেক আইজিপি কেএম শহিদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, আব্দুল মাবুদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।