মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চালের দাম বেঁধে দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। ফিলিপিনোদের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে, বিশেষ করে প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সুবিধা দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশে চালের দাম নির্ধারণ করে দেন মার্কোস জুনিয়র।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, ফিলিপিনোদের ওপর চলমান উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক চাপের কারণে এবং সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষদের সুবিধা দিতে চালের মূল্য বেঁধে দেওয়ার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের নির্বাহী আদেশ অনুসারে সাধারণ মিলের চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১ ফিলিপিনো পেসো এবং তুলনামূলক উন্নতমানের মিলের চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ পেসো। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, মূলত মজুত এবং ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গড়ে অবৈধভাবে চালের মূল্য বাড়ানো, কম ফলন এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও ভারতের চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে চালের এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ও কৃষিমন্ত্রী মার্কোস জুনিয়ার, শুল্ক কর্তৃপক্ষকে মজুত ও অবৈধ আমদানি রোধে চালের গুদাম পরিদর্শন জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি প্রতিযোগিতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাকে বাজারে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্টেল ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন।
ফিলিপাইনের জাতীয় অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতে, দেশে চালের মূল্যস্ফীতির হার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে ছিল ১ শতাংশ। সেখান থেকে বেড়ে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশে। ফিলিপাইনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, যারা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ, তারা তাদের মোট উপার্জনের ৬০ শতাংশই ব্যয় করে খাবার কেনার পেছনে।