দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: রাজধানীবাসীর যাতায়াতে এক স্বপ্নের দিগন্ত খুলে দিয়েছে মেট্রোরেল। নির্ধারিত সময় ও রুট মেনে মুক্তি দিয়েছে জ্যামের ভোগান্তি থেকে। তবে অনেক সময় যাত্রী বা অন্যান্য কারো ভুলে বিঘ্ন ঘটে মেট্রো যাতায়াতে। সৃশঙ্খলা ও পরিবেশ ঠিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে মেট্রোতে। সেই নিয়মে রয়েছে কিছু নিষেধাজ্ঞাও। এবার সেই নিষেধাজ্ঞায় যুক্ত হয়েছে বেলুন নিয়ে ওঠায়।
গত ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন হয়। পরে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৪ নভেম্বর মতিঝিল পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে। মেট্রোরেলের যাত্রীদের উদ্দেশ্যে অবশ্যই করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। মেট্রো স্টেশনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ধূমপান বা যেকোনো ধরনের খাদ্যগ্রহণ।
মেট্রোরেলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ সুশৃঙ্খল ও পরিচ্ছন্ন রাখতে এর আগে কাঁচা শাক-সবজি ও মাছ-মাংস নিয়ে মেট্রোরেলে প্রবেশে নিষেধ করে নোটিশ টানানো হয়। আগ্নেয়াস্ত্র বহন, পোষা প্রাণী বহন, বিপজ্জনক পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি নিষিদ্ধ রয়েছে ভারী ও বড় আকারের মালামাল পরিবহনও।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) মেট্রোরেল স্টেশনে ‘ফুল নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ নিষেধ’ লেখা একটি নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ ফুল নিয়েও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এখন নতুন করে বেলুন নিষিদ্ধ করেও একটি নোটিশ টানানো হয়েছে। গত ৮ মে মেট্রোরেল প্যাসেঞ্জার কমিউনিটি ফেসবুক গ্রুপে নোটিশের ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে বেশ কয়েকবার মেট্রো চলাচলে বিঘ্ন ঘটিয়েছে বেলুন ও ফানুস।
বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশনের সবগুলো থেকেই যাত্রী ওঠা-নামা করে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছে।