মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণ করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাধারণ মানুষের জন্য ভাড়া কমানো এবং শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুহাইল আহম্মেদ শুভ, দপ্তর সম্পাদক অনিক কুমার দাস। সমাবেশ পরিচালনা করেন ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা বলেন, মেট্রোরেলের দ্বিতীয় অংশের উদ্বোধন হবে শনিবার। কিন্তু মেট্রোরেলের যে সুফলের কথা বলা হয়েছিল, তা এখন জনগণের দুর্ভোগ পরিণত হয়েছে। মেট্রোরেলের যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে এটা আর সাধারণ মানুষের পরিবহন না হয়ে ধনিক শ্রেণীর বিলাসী পরিবহনে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাড়া এবং পাশের দেশ কলকাতার থেকেও প্রায় চার গুণ বেশি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। মন্ত্রী-আমলা ও প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত কর্তা ব্যক্তিদের লুটপাট-দুর্নীতিতে বারংবার বেড়েছে প্রকল্পের বাজেট। কিন্তু সরকার এগুলোর কোনো প্রতিকার না করে জনগণের ওপরই এর দায়ভার চাপিয়ে দিচ্ছে।
নেতারা আরও বলেন, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থী হাফ ভাড়ার অধিকার আদায় করেছে। কিন্তু মেট্রোরেল প্রকল্পে শিক্ষার্থীদের সে দাবিকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। মতিঝিল থেকে উত্তরা ১০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। একজন যদি নিয়মিত মেট্রোরেলে যাওয়া আসা করে তাকে মাসে গুনতে হবে ছয় হাজার টাকা, যা এখনকার অর্থনীতির মূল্যস্ফীতিতে অবাস্তব। এই ভাড়া কোনো মধ্যবিত্ত জনগণ এবং শিক্ষার্থীদের বহন করা কষ্ট সাধ্য।
সমাবেশ থেকে বলা হয়, আমরা দাবি করছি, এখনকার আর্থসামাজিক অবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা জীবনের কথা বিবেচনায় নিয়ে সাধারণ মানুষের শ্রমে-ঘামে নির্মিত মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া এবং সাধারণ মানুষের জন্য ভাড়া কমাতে হবে। আমাদের দাবি মেনে যদি ভাড়া নির্ধারণ না করা হয় আগামী দিনে সব শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বড় আন্দোলন গড়ে তুলব।