মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সেশনজট মুক্ত রাখতে প্রফেশনাল পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই বলে মনে করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। করোনা মহামারির মধ্যে প্রফেশনাল পরীক্ষা স্থগিত রাখার দাবিতে কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য এলো।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চিকিৎসা শিক্ষার এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তি শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর মে ও নভেম্বরে অথবা ফেব্রুয়ারি ও আগস্টে দুই টার্ম প্রফেশনাল পরীক্ষা নেওয়া হয়। একজন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসক হওয়ার আগে চারটি প্রফেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে এই পরীক্ষা গ্রহণ স্থগিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সেশনজট মুক্ত রাখতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সেশনজট মুক্ত রাখতে পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা ভিন্নধর্মী হওয়ায় বিদ্যমান বিধিতে পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনোভাবে একজন শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ নেই। সব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ডিন, অধ্যক্ষসহ সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একাধিক সভায় বিষয়টি পর্যালোচনা করে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে নিয়মিত ও অনিয়মিত ব্যাচের প্রফেশনাল পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোস্টেলে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয় এবং ওই সময় অন্য কোনো শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করতে পারবেন না। সুতরাং অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।