নিট ইউজি পরীক্ষা ২০২৪-এ প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে যে মামলা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে নোটিশ জারি করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। শুধু কেন্দ্র নয়, সঙ্গে সিবিআই-কেও এই নিয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, নিট পরীক্ষা পরিচালনাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সাতটি আবেদনের উপর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয় শুক্রবার। এই আবেদনগুলোতে নিট-এর প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে। সেই সময়ই এই নিয়ে তাঁদের মতামত জানতে কেন্দ্র এবং সিবিআই-কে নোটিশ জারি করেছে শীর্ষ আদালত।
এদিকে এই মামলা সংক্রান্ত মুলতুবি থাকা আবেদনগুলির সাথেই গতকালের মামলাগুলির শুনানি হবে আগামী ৮ জুলাই। প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত একটি মামলা দিল্লি হাই কোর্টে মলতুবি রয়েছে। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছে এনটিএ। সেই আবেদনের শুনানিও ৮ জুলাই হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার পরীক্ষা বাতিলের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারীরা অভিযোগ করেন যে এবার নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য অনিয়ম হয়েছে। গত মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি নাথ এবং বিচারপতি আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চে। এই আবহে নিটের আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির থেকে জবাব চেয়েছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চ।
গ্রেস মার্কসের বিষয়ে এনটিএয়ের তরফে দাবি করা হয়, দেশজুড়ে ২৪ লাখ নিট প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল, পটনায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। আর রাজস্থানের প্রার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। যদিও ইতোমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এনটিএ। সেখানেই অবশ্য বিতর্কে ইতি পড়েনি। এবার ৬৭ জন প্রথম স্থানাধিকারী হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত হরিয়ানার একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ছ'জন প্রথম হওয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। সেইসঙ্গে গ্রেস মার্কস দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে বহু পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কারণ অনেকেই ৭১৯ বা ৭১৮ নম্বর পেয়েছিলেন। তবে নিট পরীক্ষার মার্কিং নিয়মে তা সম্ভব নয়। আদতে ৭২০ নম্বরের পরে প্রাপ্ত নম্বর ৭১৬ নম্বর বা ৭১৫ নম্বর হতে পারে। যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় গ্রেস নম্বর ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।