দৈনিক শিক্ষাডটকম, রাবি: যৌন হয়রানির অভিযোগকারীকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যেন সব দোষ তার। তারা সুযোগ দেয় বলেই হয়রানির শিকার হয়। কিন্তু আমরা একবারও প্রশ্ন করি না, একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে কেনো চেম্বারে ডাকবেন? যখন কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তখন তারা একটা ক্ষমতার বলে এড়িয়ে যান। কারণ যারা যৌন হয়রানি করে তারা সবসময় প্রভাবশালী হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি : বাস্তবতা ও করণীয়’ বিষয়ক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম এসব কথা বলেন।
শনিবার শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ভবনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখন ছেলেদেরকেও যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হতে দেখি। বিশেষ করে মাদরাসায় ছোট ছোট বাচ্চাদের বাবা-মা বিশ্বাস করে রেখে আসে, সেখানে প্রায়ই এমনটা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষক যৌন হয়রানি করে, তাদের সাথে কিছু মেয়ে শিক্ষকও জড়িত। তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা উচিত। অনেকে বলে শিক্ষকরা তোমার বাবার মতো, আমি বলি না। কোনো শিক্ষক তোমার বাবা নয়, তোমার বাবা একটায়।
এই পৃথিবী খুব খারাপ, বিশেষ করে মেয়েদের জন্য। প্রতিটা ক্ষেত্রে তুমি হ্যারেজমেন্টের শিকার হবে। চাচাতো ভাই, মামাতো ভাই, বাবা, চাচা, শিক্ষক সবার দ্বারা হতে পারো। মেয়েদের যদি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীনতা না দেয়া হয়, তাহলে কোনো উন্নতি হবে না, মেয়েদের রাজনীতিতে ঢুকতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আমি প্রতি আনাচে-কানাচে আমি যৌন হয়রানি জন্য বক্স বসিয়েছি। যার চাবি থাকে আমার কাছে। আমি নিজে সেগুলো সংগ্রহ করি।
এসময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, একটি সমাজ যখন গড়ে ওঠে তখন ভালোমন্দ সবকিছু নিয়ে বিচার করা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও সমাজের বাইরে নয়। বর্তমান সমাজে যৌন হয়রানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেমিনারের দ্বিতীয় পর্বে আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিম কি কি কাজ যৌন হয়রানির মধ্যে পরবে তা সবার সামনে তুলে ধরেন।