যথাসময়ে পাঠ্যবই পাওয়া নিয়ে শঙ্কা নেই

মিথিলা মুক্তা, দৈনিক শিক্ষাডটকম |

৪০ দিন সময় দিয়ে পাঠ্যপুস্তক ছাপার কোনো আদেশ দেওয়া হয়নি জানিয়ে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্তারা জানিয়েছেন, সংশোধিত ও পরিমার্জিত বিনামূল্যের পাঠ্যবই যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে কোনো সমস্যা দেখছেন না তারা। 

 

তাদের আশা, ডিসেম্বরের মধ্যেই পাঠ্যবই ছাপা শেষ করা যাবে। বই ছাপার টেন্ডারে যারা অংশ নেবেন তারা শর্ত মেনেই নেবেন। বই ছাপা ও বিতরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডও (এনসিটিবি) তাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে। ছাপার কাগজ পাওয়া নিয়েও কোনো সমস্যা হবে না বলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছেন পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান। 

করোনাকালের বই ছাপার অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে রিয়াজুল হাসান বলেন, ওই সময়ে খুবই কম সময়ে বই ছেপে যথাসময়ে সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। পিপিআর অনুযায়ী দুর্যোগকালে সময় কম দিয়েও টেন্ডার আহ্বান করা যায়। সুতরা ছাপার জন্য কম সময় বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তোলারও সুযোগ নেই। 

এনসিটিবি বলছে, ৩৬ কোটি পাঠ্যবই ছেপে যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে প্রক্রিয়া শুরু করলে ডিসেম্বরের মধ্যেই বই ছাপা সম্ভব। 
তবে, কোনো কোনো মুদ্রণকারীদের মতে, এই সময়ের মধ্যে পুরো সেট পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া সম্ভব নাও হতে পারে। অতীতেও কখনোই প্রথম দিনে পুরো সেট বই শিক্ষার্থীরা হাতে পায়নি। পুরো সেট বই পেতে কমপক্ষে একমাস অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রতিবছরই। কখনো ফেব্রুয়ারি/মার্চ পর্যন্ত সময় লেগেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, আগে শুধু প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যের পাঠ্যবই দেয়া হতো। গত ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকার দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ শুরু করে।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিনামূল্যের পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জনের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করলেও নতুন করে আর কোনো কমিটি গঠন করার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্রের তথ্যমতে, এরই মধ্যে পাঠ্যবই সংশোধনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষে সংশ্লিষ্টরা এনসিটিবির কাছে তা হস্তান্তর করবেন। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশোধিত বইয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নতুন শিক্ষাক্রম থাকবে না বলে জানায়। সেই হিসেবে নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর রচিত বইগুলোতে সংস্কার আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে কিছু আধেয় (কনটেন্ট) বাদ দেয়ার পাশাপাশি মূল্যায়নের পরিবর্তে সৃজনশীল প্রশ্ন যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এর অংশ হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠ্যবই পরিমার্জন ও সংশোধনে শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি গ্রুপ করে দেয়া হয়।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল   SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024728775024414