যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরে ধাপে ধাপে সকল বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা চলাকালে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা করোনা পরীক্ষার সনদ নিয়ে থাকার অনুমতি পাবে। আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আলাদা হলে অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক সদস্য।
সভা সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে-আগামী ১ জুলাই থেকে স্নাতকোত্তর ও স্নাতক চতুর্থ বর্ষ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের আগামী ২০ জুনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টার থেকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে ২৫ জুনের মধ্যে হলে ওঠানো। আবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে হলে উঠতে হবে। হলে অবস্থানকালে কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বাইরে যেতে পারবে না। হলে খাবার বাবদ এককালীন টাকা পরিশোধ করতে হবে। অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা বাইরে মেস/বাড়ি বা নিজস্ব ব্যবস্থায় থেকে পরীক্ষা দিবে। পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে আবাসিক এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা কক্ষে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা নতুন বর্ষের শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর আগে সকল বর্ষের পরীক্ষা সম্পন্ন করব। যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তাই এক সঙ্গে সকল বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে সকল বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’
করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে-এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এক সঙ্গে কমপক্ষে ১০০ শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো সক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের আছে।’