দৈনিক শিক্ষাডটকম, যশোর : যশোর জিলা স্কুলের ১৮৬ বছর পূর্তি উদযাপন ও দুই দিনের প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুক্রবার শুরু হয়েছে। বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক আবরার হাসান মজুমদার, যশোর জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি মেজর জেনারেল সালাউদ্দিন মিয়াজী, বর্তমান প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন, উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক এ জেড এম সালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক নিয়াজ মোহাম্মদ, শাহিন চৌধুরীসহ স্কুলের বিভিন্ন ব্যাচের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর যশোর জিলা স্কুল প্রাক্তন ছাত্র সমিতির আয়োজনে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে আসছে। এবার হচ্ছে পঞ্চম বারের আয়োজন।
১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত যশোর জেলা স্কুলের শিক্ষকতা করেছেন ভাষাবিদ ড. ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার প্রমুখ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পণ্ডিত। এ স্কুলের খ্যাতিমান ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন- জ্যোতির্বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ্র, ভাষা সৈনিক মো. সুলতান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, কবি ড, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পরমাণু বিজ্ঞানী ড. শমসের আলী, কমিউনিস্ট নেতা কমরেড আব্দুল হক, শহীদ সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন, হায়দার আকবর খান, তরিকুল ইসলাম, খালেদুর রহমান টিটো, নাট্যকার সালাউদ্দিন লাভলু, গীতিকার ও সুরকার মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান, নাট্যাভিনেতা আজিজুল হাকিম প্রমুখ স্ব-স্ব ক্ষেত্রে মহিয়ান ব্যক্তিরা।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্কুলের কৃতি ছাত্র শহীদ মশিউর রহমান, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, মাসুকুর রহমান তোজো, আসাদুজ্জামান আসাদ, সিরাজুল ইসলাম শান্তি, নজরুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন জীবন উৎসর্গ করেছেন।
এবার ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের স্কুলের এসএসসি শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছেন।
১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষার্থী ফারুক নিজের প্রতিক্রিয়ায় দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, অনেক বন্ধু-বান্ধব দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তারপরও আমরা যে কজন আছি এই অনুষ্ঠানে এসে খুবই আনন্দিত।
১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষার্থী গঙ্গানন্দপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, স্কুল প্রাঙ্গণে এসে মনে হচ্ছে আমাদের সেই স্কুলের দিনগুলোতে আমরা ফিরে গেছি।
১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষার্থী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, আমাদের শুধু আনন্দ করেই পুনর্মিলনী শেষ করলে চলবে না। এই স্কুলের অসহায় শিক্ষার্থী যারা আছেন তাদের জন্য কিছু করার উদ্যোগ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির পক্ষ থেকে নেয়া উচিত।
দুই দিনব্যাপ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে থাকছে স্মৃতিচারণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রাক্তন শিক্ষক সংবর্ধনা, কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, খেলাধুলা, রাফেল ড্র, আতশবাজি ইত্যাদি।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।