এখন থেকে নাম সংশোধনের তদন্ত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটি গঠনে অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনয়ন অনলাইনে করবে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে নতুন করে এ দু’টি অনলাইন সেবা পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছেন। এই উদ্ভাবনের ফলে শিক্ষকদের হয়রানি কমবে ও বোর্ডের কাজের গাতি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
জানা গেছে, অ্যাডহক কমিটির আবেদন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে অভিভাবক প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য জেলা প্রশাসন ও ইউএনও অফিসে এবং শিক্ষক প্রতিনিধির জন্য জেলা শিক্ষা অফিস ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আর যেতে হবে না। ওই দুই অফিস প্রধানের মোবাইল নম্বর ও মেইল আইডি অনলাইন আবেদন ফরমের নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে দিয়ে অনলাইনে পেমেন্টসহ দাখিল করলেই তাদের মোবাইল ও মেইলে মনোনয়ন দেবার লিংক চলে যাবে। সেই লিংককে তারা যথাক্রমে অভিভাবক সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধির নাম ঠিকানা বসিয়ে সেন্ড করলেই বোর্ড থেকে সভাপতি দিয়ে কমিটি অনুমোদন করা হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে ম্যানেজিং কমিটির পত্র জারি হয়ে যাবে। যার কপি প্রতিষ্ঠান প্রধান, জেলা প্রশাসক ও ইউএনও এবং জেলা শিক্ষা অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের লিংকে চলে যাবে। এসব প্রতিনিধির জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে আর অফিসে-অফিসে আর ধরনা দিতে হবে না। শিক্ষকদের জিম্মি করে ওই সব অফিসের কর্মচারীদের অনৈতিক সুবিধা গ্রহণেরও আর কোন সুযোগ থাকছে না।
বোর্ড সূত্রে আরও জানা গেছে, নাম সংশোধনের জন্য প্রশাসনিক তদন্ত আর ম্যানুয়ালি করা হবে না। আবেদনের আইডি থেকেই জেলা প্রশাসকের কাছে আইডি ও পাসওয়ার্ডসহ একটি মেসেজ যাবে। জেলা প্রশাসক তদন্ত রিপোর্ট অনলাইনেই দাখিল করবেন। রিপোর্টটি আবেদনকারীর আইডিতে স্থায়ীভাবে থেকে যাবে এবং সে মোতাবেক নিষ্পত্তি হবে। ফলে রিপোর্টটি মিসিংয়ের আশঙ্কা থাকবে না। রিপোর্টের জন্য পেন্ডিং আইডিগুলোও সহজে চিহ্নিত করা যাবে। কারো ফলস রিপোর্ট দাখিলেরও কোনো সুযোগ থাকবে না। ফলে খুব সহজভাবেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সেবা পাবেন।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
এ বিষয়ে যশোরের চৌগাছা এ বি সি ডি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, চেয়ারম্যান স্যারের প্রতিটি উদ্ভাবন প্রযুক্তি নির্ভর। স্যারের জন্য শুভ কামনা। স্যারের প্রযুক্তিশীল উদ্ভাবনের ফলে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে। সেবা ব্যবস্থা প্রযুক্তি নির্ভর ও সহজীকরণ হবে।
যশোর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রাবণী সুর দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মহতি উদ্যোগ গ্রহণের জন্য চেয়ারম্যান স্যারকে অভিনন্দন। স্যারের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও উদ্ভাবন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বান্ধব। তিনি যোগদান করার পর থেকেই সেবা ব্যবস্থা সহজীকরণের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। স্যারের নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে শিক্ষাবোর্ডের সব সেবাই এখন ঘরে বসে খুব সহজেই পাওয়া যায়। স্যারের জন্য শুভকামনা। তিনি যেন সব উদ্ভাবন সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করতে পারেন।
এ বিষয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে কাজ করছি। সেবা ব্যবস্থা সহজীকরণ করতে প্রতিটি উদ্ভাবন সফলতার সাথে বাস্তবায়ন হয়েছে। সেবা গ্রহীতাদের দুর্ভোগ লাঘব ও হয়রানি বন্ধ করতে সেবা সহজীকরণ করা হচ্ছে। মানুষের হাতের মুঠোই সেবা পৌছে দেয়ায় তার প্রধান লক্ষ্য। এসব কাজে কোন বাধায় আমলে নেয়া হয়না।