বৃহত্তর যশোরের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সবার প্রিয় অধ্যাপক মোহাম্মদ ইয়াকুবের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল। আমৃত্যু তিনি যশোর ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। একইসঙ্গে সুরবিতানের সভাপতি ছিলেন।
কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় যশোর শহরের সরকারি সিটি কলেজ ও নওয়াপাড়া কলেজে অধ্যাপনায় নিযুক্ত ছিলেন। পদোন্নতিজনিত কারণে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে বদলি হয়েছিলেন। চুয়াডাঙ্গা থেকে বাসযোগে যশোরে ফেরার পথে ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ সেপ্টেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
মোহাম্মদ ইয়াকুবের উদ্যোগে কবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের বাড়ীকে কেন্দ্র করে বিশাল মধুমেলার আয়োজনের সূচনা হয়। যা অদ্যাবধি চলে আসছে। অধ্যাপক মোহাম্মদ ইয়াকুবের প্রচেষ্টায় তৎকালীন শ্রম ও জনশক্তি প্রতিমন্ত্রি প্রয়াত খালেদুর রহমান টিটোর বিশেষ সুপারিশে ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে যশোর সিটি কলেজ জাতীয়করণ হয়।
ঢাকার অল্পকথা প্রকাশনা থেকে মোহাম্মদ ইয়াকুবের একমাত্র বই ‘প্রগতিশীল শিল্প-সাহিত্য’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে।
তাঁর একমাত্র ছেলে শ্রাবস্তী আহম্মদ দৈনিক আমাদের বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক। একমাত্র কন্যা সানজিদা খাতুন ঢাকার সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল কলেজের শিক্ষক।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যশোর শহরের ঢাকা রোডস্থ নিজ বাসভবনে দোয়া ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ হবে।