এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত কয়েক হাজার নতুন শিক্ষক বাদ পড়ছেন। সনদ যাচাই বাছাই করে এন্ট্রি লেভেলের (সহকারি শিক্ষক ও মৌলভী) পদে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
সংশ্লিষ্ট্র সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানায়, নিজেদের প্রথম থেকে পঞ্চম নিবন্ধন উত্তীর্ণ দাবি করে আবেদন করা কিছু জাল সনদধারী, কাম্য যোগত্যা না থাকা কিছু আইসিটি শিক্ষক, সহকারী মৌলভী পদে নির্বাচিত কেউ কেউ ও বয়স লুকিয়ে আবেদন করা প্রার্থীদের বাদ দেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে নির্বাচিত কয়েকহাজার প্রার্থী সনদ যাচাইয়ে বাদ পড়তে পারেন বলে ধারণা করছেন যাচাই বাছাইয়ে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত সাড়ে ৩২ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশের আগে তাদের সনদ যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে এনটিআরসিএ। প্রার্থী নীতিমালা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই যেনো তারা চূড়ান্ত সুপারিশ পান তা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রথম দফায় নির্বাচিত প্রথম থেকে পঞ্চম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের শিক্ষা সনদের কপি জমা নেয়া হয়েছে। এখন ষষ্ঠ থেকে একাদশ নিবন্ধনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সনদ জমা নেয়া হচ্ছে। আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত এসব প্রার্থীর সনদ জমা দিতে বলা হয়েছে।
নির্বাচিত প্রার্থীদের সনদ যাচাইয়ে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আইসিটি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ সুপারিশের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রায় অর্ধেক বাদ পড়ছেন। তাদের কেউ কেউ ছয় মাসের ডিপ্লোমা নিয়ে নিবন্ধিত হয়েছিলেন। আবার নীতিমালায় যে প্রতিষ্ঠান থেকে যে আইসিটি সনদ নিয়ে নিবন্ধিত হওয়ার নির্দেশনা ছিলো সে অনুযায়ী সনদ অনেকের নেই। তারাও বাদ পড়ছেন।
অপর এক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, প্রথম থেকে পঞ্চম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ কয়েকজন জাল সনদধারী প্রার্থীও সুপরিশ পেয়েছিলেন। যাচাই বাছাইয়ে তাদের বাদ দেয়া হচ্ছে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চের আগে যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি তাদেরও বাদ দেয়া হবে। প্রথম থেকে পঞ্চম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ প্রার্থীর বয়স ৩৫ না হওয়াটা আমাদের বিস্মিত করেছে। তারা বয়স লুকিয়ে আবেদন করেছেন।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, মাদরাসার এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী মৌলভী পদের জন্য সর্বশেষ ডিগ্রি বা ফাযিলে তৃতীয় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়। তবে সর্বশেষ স্তর ছাড়া অন্যান্য স্তরের যেকোনো একটিতে তৃতীয় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য। তাই ফাযিলে তৃতীয় বিভাগ পাওয়া প্রার্থীদের বাদ দেয়া হতে পারে। তবে তাদের জটিলতা সমাধানেও আলোচনা চলছে।
এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এখনো প্রার্থীরা সনদ জমা দিচ্ছেন। সেগুলো যাচাই চলছে। পুরোপুরি কাজ শেষ হওয়ার আগে বলা যাচ্ছে না কতোজন বাদ পড়তে পারেন।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।