চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এসএসসি পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৫২ শিক্ষার্থী। পাসের হারে সবার নিচে এবার সিলেট বোর্ডের অবস্থান। তবে এমন ফলের জন্য গণিতের প্রশ্নপত্র কঠিন হওয়া ও মানবিক বিভাগে মোট পরীক্ষার্থীর ৭২ ভাগের বেশি হওয়াকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের আলমপুরস্থ বোর্ড কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল এ তথ্য জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. মইনুল ইসলাম, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হাবিবা বাছিত ও শরীফ আহমদ, সিস্টেম এনালিস্ট সরকার মো. আতিকুর রহমান।
এমন ফলাফলের বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, গণিত বিষয়ে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নপত্র পেয়েছে সিলেট বোর্ড। আমি নিজেও একজন গণিতের অধ্যাপক। কিন্তু এবারের এসএসসিতে যে কঠিন প্রশ্ন হয়েছে সে বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওই সময়ই জানিয়েছি। এছাড়া সিলেট শিক্ষাবোর্ডের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে মানবিক বিভাগেই পরীক্ষার্থী ছিল ৭২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। পাসের হারও তাদের সবচেয়ে কম। মানবিকে পাসের হার ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে ভালো ফল করেছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের পাসের হার ৯১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে পাসের হারও ভালো ৮৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। কিন্তু এই দুই বিভাগে মিলে পরীক্ষার্থী ছিল মাত্র২৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। আমাদের বিজ্ঞান শাখায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও অনেক বাড়াতে হবে। এ শাখায় পরীক্ষার্থী কম হওয়ায় সিলেট পিছিয়ে পড়ছে।
সিলেট বোর্ডে শতভাগ পাশের সাফল্য দেখিয়েছে ২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর কেউ পাশ করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা শূন্য। তিন বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলাফল হয়েছে বিজ্ঞান বিভাগে। পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে এবারও ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
সিলেট বিভাগ থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৫৩২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ৮৩ হাজার ৩০৬ জন। পাসের হার ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। গত বছর পাশের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ।
এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫২ শিক্ষার্থী। গেলো বছর এ সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৫৬৫ জন। অর্থাৎ গেলো বছরের চেয়ে এবছর পাশের হার ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ২ হাজার ১১৩ জন কমেছে।