রাজধানীর গেন্ডারিয়ার মনিজা রহমান গার্লস এন্ড কলেজে অধ্যক্ষ লুৎফুন নাহারের বিরুদ্ধে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা ছাড়াই অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাওয়ার প্রমাণ পেয়েছে ঢাকা বোর্ড। এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ থাকাকালীন টাঙ্গাইলের একটি কলেজের অধ্যক্ষ পদের চাকরি করার অভিযোগেরও প্রমাণ মিলেছে। এ পরিস্থিতিতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বোর্ড। বোর্ড থেকে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, অধ্যক্ষ লুৎফুন নাহার দুইটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠলে ঢাকা বোর্ড তা তদন্তে কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুযায়ী উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হওয়ার মত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা লুৎফুন নাহারের নেই। এতে আরও বলা হয়েছে, লুৎফুন নাহার একইসাথে মনিজা রহমান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে এবং টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ব্রাহ্মণশাসন মহিলা কলেজে কর্মরত ছিলেন। এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী একইসাথে একাধিক পদের চাকরিতে নিয়েজিত থাকা বিধিবহির্ভুত।
বোর্ড থেকে সভাপতিকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ লুৎফুন নাহার কাম্যযোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও অধ্যক্ষ পদে চাকরি করা এবং একইসাথে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত থাকার এমপিও নীতিমালা অনুসারে বিধিবহির্ভুত। তাই, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে বোর্ডের কলেজ পরিদর্শককে জানাতে বলা হয়েছে সভাপতিকে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিটি মনিজা রহমান গার্লস এন্ড কলেজের সভাপতিকে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।