ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা মো. আল-আমিন মাঝির বিরুদ্ধে যৌতুক দাবি করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি নিজ ছাত্রীকে বিয়ে করে যৌতুক দাবি করেছেন। স্ত্রীর পক্ষে তার মা বাদী হয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) মামলাটি করেন। মামলায় এ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক এইচএম ইমরানুর রহমান।
অভিযুক্ত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা আল-অমিন ৪ বছর আগে ঝালকাঠি মহিলা কলেজে যোগ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর মা ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২০ সেপ্টেম্বর কলেজের তৎকালীণ অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসানের কাছে অভিযোগ করেন। একইসাথে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে নালিশি অভিযোগ করেন। কিন্তু ওই সময় জেলা ও দায়রা জজ ছুটিতে থাকায় মামলা হয়নি। পরে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রোববার আদালতে মামলাটি করেন।
পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিত ওই ছাত্রী ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসি পাস করেন। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর কয়েক মাস আগে ক্লাস নেয়ার সুবাদে আল-আমিন মাঝি ওই ছাত্রীর ফোন নম্বর সংগ্রহ করে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেন। এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে আল-আমিন ছাত্রীকে ফোন করে মহিলা কলেজে এনে বলেন- ‘তুমি ভালো রেজাল্ট করেছো। তুমি মেডিকেলে ভর্তির পরীক্ষা দাও। আমি তোমাকে সব রকমের সহযোগিতা করব।’
সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আল-আমিন প্রায়ই ওই ছাত্রীকে বরিশাল-ঝালকাঠির বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও মহিলা কলেজ সড়কের বাসায় নিয়ে দৈহিক মেলামেশা করেন। এক পর্যায়ে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ওই ছাত্রীকে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন তিনি। টাকা না দিলে বাবার বাড়ি থেকে আর নেয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন প্রভাষক আল আমিন মাঝি।