চিকা মারা নিয়ে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এএফ রহমান হলের সব চিকা মুছে ফেলা হয়েছে।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের নাম-সম্বলিত এসব চিকা মুছে দেয়া হয়।
হলের দেয়ালে চিকা মারা এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ ভিএক্স এবং বিজয়। এ সময় আহত হন প্রায় ২৫ জন কর্মী। ভাঙচুর করা হয় হলের ৩৫টির বেশি কক্ষ। এ সময় একজন সহকারী প্রক্টর ও গণমাধ্যমকর্মীরাও ছাত্রলীগের হেনস্তার শিকার হন। এ নিয়ে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
এ ঘটনার পর রোববার বিকেল ৩টা থেকে চিকা মুছে ফেলার কাজ শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবীর, গোলাম কুদ্দুস লাবলু, হাসান মুহাম্মাদ রোমান ও শাহরিয়ার বুলবুল তন্ময়।
সহকারী প্রক্টর এস এ এম জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। যে চিকা মারাকে কেন্দ্র করে এত কাণ্ড তাও আমরা মুছে দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এমনিতেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বগিকেন্দ্রিক গ্রুপিং রাজনীতি নিষিদ্ধ। কিন্তু এখানকার ছাত্রলীগের নেতারা সেই নির্দেশ মানছে না। আপাতত এএফ রহমান হলের চিকা মুছে ফেলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব হল ও অনুষদের চিকাও মুছে ফেলা হবে।’