যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। রোববার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে শিক্ষা বোর্ড চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চত্বরে মুজিব শতবর্ষ স্মারক ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ও ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিকেল চারটায় চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং প্রধান মূল্যায়ন অফিসার (চলতি দায়িত্ব) এস এম গোলাম আজমের সঞ্চালনায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নওশের আলী। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আরিফুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভার মূখ্য আলোচক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নওশের আলী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনের নানান দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি টুঙ্গিপাড়া থেকে কলকাতার বেকার হোস্টেল, পাকিস্তান আন্দোলন, ঢাকায় প্রত্যাবর্তণ, ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, স্বাধীকার, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিক নেতৃত্বদানের ইতিহাস তুলে ধরেন। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর সারাদেশে কিভাবে তিনিসহ ছাত্র যুবক আপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সেটি চমৎকারভাবে তুলে ধরেন।
চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, ১৫ আগস্টের সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা এবং স্বাধীনতাকামী জনমানুষের অসীম ত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
বাঙালির প্রতিটি অর্জনের পেছনে অসীম ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বলেন, কোটি মানুষের আত্মত্যাগ আমাদের দায়বদ্ধতা প্রদান করে। সেই দায় বা ঋণ পরিশোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে যোগ্যতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করা। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু আজও বাংলাদেশকে নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় আছে। তারা সাম্পদ্রায়িক বিষবাষ্প সমাজে ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা করতে পারে। এ ব্যাপারে তিনি সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন।সন্ধ্যায় বীর শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বোর্ড চত্বরে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৪ মার্চ ও ২৬-২৮ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষা বোর্ড ভবন আলোকসজ্জ্বায় সজ্জিত করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় শহীদের স্মারণে শিক্ষা বোর্ড চত্বরে (বাংলাদেশের মানচিত্রে) মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে সম্মান জানানো হয়।