রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জেল হত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। শুক্রবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা বোর্ড চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে রাজশাহী শহরের কাদিরগঞ্জে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দোয়া করা হয়।
সকাল সাড়ে আটটায় শিক্ষা বোর্ড চত্বরে দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব মো. হুমায়ূন কবীর সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ‘মুজিব শতবর্ষ’ স্মারক ম্যুরালে এবং জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তাবক অর্পণ করেন। পরে এক মিনিট নীরবতা পালন করে সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সচিব মো. হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে মুজিব শতবর্ষ স্মারক ম্যুরাল চত্বরে জেলহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আরিফুল ইসলাম, কলেজ পরিদর্শক মো. এনামুল হক ও বিদ্যালয় পরিদর্শক মহা. জিয়াউল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান মূল্যায়ন কর্মকর্তা এস এম গোলাম আজম।
আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. হুমায়ূন কবীর তাঁর বক্তব্যে কলঙ্কজনক জেল হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী জাতীয় নেতাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জেলখানা সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যার ঘটনা জাতির জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে দেশপ্রেম থাকতে হবে। দেশকে ভালোবেসে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে।
বাদ আসর শিক্ষা বোর্ড জামে মসজিদে জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে।