রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় শাখায় ফিরেছে কাজের গতি। কোভিড-১৯ এবং বিদ্যালয় পরির্দশকের অসুস্থতার কারণে স্থবিরতা নেমে আসে শাখার কার্যক্রমে। পরে দুই বছর দ্রুত কাজ করে ফাইল জটের অবসান ঘটেছে। এখন আর কোনো ফাইল আটকা নেই শিক্ষা বোর্ডে।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের আওতায় থাকা আট জেলার প্রায় ৪ হাজার ৫০০ বিদ্যালয়ে কাজের গতি ফিরেছে।
জানা যায়, অন্তত ২ হাজারের বেশি ফাইল জমে স্বাভাবিক গতি হারিয়েছিলো। বর্তমান বিদ্যালয় পরিদর্শক মুহা. জিয়াউল হক নিরলসভাবে কাজের মাধ্যমে কাজের গতি এসেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে বিদ্যালয় পরিদর্শক হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ পান বিসিএস-২৬ ব্যাচের শিক্ষা ক্যাডারের সহকারী অধ্যাপক মহা. জিয়াউল হক। এরপরেই গত এপ্রিল-২০২২ থেকে এপ্রিল-২০২৪ পর্যন্ত দুই বছরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ২২৪টি, অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে ২ হাজার ৬৯৪টি, মুঞ্জুরি নবায়ন করা হয়েছে ২ হাজার ১০টি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ সদরের ফ্রিডম স্কুল অ্যান্ড কলেজের রেজিস্ট্রার মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে আমি প্রতিষ্ঠানটি চালু করি কিন্তু নানা প্রতিকুলতার কারণে বোর্ড থেকে অনুমতিই নিতে পারছিলাম না। বর্তমান পরিদর্শক মাত্র দুই মাসে আমাদের সেই কাজ করে দিয়েছেন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রধান শিক্ষক বলেন, আগে এই শাখায় যেকোনো কাজে এলে টাকা ছাড়া ফাইল অনুমোদন হতো না। এখন আর সেটার দরকার হয় না। আবার যেকোনো সময়, যেকোনো কাজে বিদ্যালয় পরিদর্শক স্যারের সঙ্গে সরাসরি দেখা করা বা কথা বলা যায় হরহামেশাই।
এতে করে শাখার কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী সিন্ডিকেট করেও সাহস পাচ্ছেন না। এক কথায় বিদ্যালয় শাখার সেবায় সবাই আমরা সন্তুষ্ট।
বিদ্যালয় পরিদর্শক মহা. জিয়াউল হক বলেন, সরকারি দায়িত্ব আমার পবিত্র আমানত। আমি সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। আমি পেপালেস অফিস করতে কাজ করে যাচ্ছি।