পূর্বঘোষিত রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী অঞ্চলের নার্সিং কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কলেজ পরিদর্শকের দপ্তরের কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরীক্ষা গ্রহণের লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্লাস ও মধ্যবর্তী পরীক্ষা শেষ হওয়ায় এখন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত তারা। গত ৩ জুলাই অনশন করে পরীক্ষার রুটিন পেয়েছিলেন। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ জেড এম মোস্তাক হোসেন অনিবার্য কারণ উল্লেখ করে পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেন। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা আবার সেশনজটের আশঙ্কার মধ্যে পড়ে যান।
রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের দুটিসহ মোট ২৩টি নার্সিং কলেজ রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পরিচালিত হয়। এগুলোর মধ্যে চারটি সরকারি নার্সিং কলেজ আছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের একই শিক্ষাবর্ষের (২০১৯-২০) শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা ও ফলাফল না পেলে তারা ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন না। আর এটি ছাড়া আগামী বছরের মার্চে নার্সিং নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ প্রয়োজন।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। পরীক্ষা চালু করতে হলে অন্তত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে দরকার।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে। সম্ভবত আগামীকালের মধ্যে এখানে নতুন কাউকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব দিবেন। ওই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন।
রংপুর নার্সিং কলেজের মো. রায়হান আলী বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা ও ফলাফলের দাবি আমাদের। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের পরীক্ষা ছিল। সেটা বড়জোর দুচার দিন পিছিয়ে পরীক্ষা নিতে পারেন। কিন্তু দ্রুত পরীক্ষা নিতে হবে।
তিনি বলেন, পরীক্ষার কোনো আশ্বাস ছাড়া আমরা আন্দোলন থেকে সরব না। এখানে সব কলেজের প্রতিনিধি আছেন। কিন্তু দায়িত্বশীল কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।