ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেয়েছিলেন প্রভাষক মো: আবদুর রাজ্জাক। বায়োডাটায় মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। বিবাহিত হলেও লিখেছিলেন ‘সিঙ্গেল’। এছাড়াও নানা অপকর্ম তো ছিলোই। এটা সরকারি ঘোষিত রাজধানীর লালমাটিয়া মহিলা কলেজের বহিস্কৃত প্রভাষক আবদুর রাজ্জাকের গল্প। রাজ্জাক এখন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক।
লালমাটিয়া মহিলা কলেজেরই একজন নারী প্রভাষকের সঙ্গে মিলেমিশে শিক্ষা ক্যাডারেরই অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত। ওই নারী শিক্ষকের বাবা বিএম কলেজের সাবেক শিক্ষক। নারী শিক্ষক এমপিও বাবদ পান ২৬ হাজার টাকা। পদ প্রভাষক হলেও অবৈধ পদোন্নতি নিয়ে এখন সহযোগী অধ্যাপকের দাবিদার। সে হিসেবে কলেজ থেকে পান মাসিক ৫০ হাজার টাকা। বেতন-ভাতা বাবদ মাসে মোট নেন ৭৬ হাজার টাকা। তার মতো আরো ২৩ জন রয়েছেন কলেজটিতে। সবাই প্রভাবশালী। কারো আত্মীয় ট্যাক্স ক্যাডারে। কারো আত্মীয় রাজনৈতিক নেতা। কলেজ জাতীয়করণ হলে এই প্রভাবশালীদের বেতন-ভাতা কমে যাবে। তাই তারা রাজ্জাক ও কতিপয় নামধারী সাংবাদিক ব্যবহার করে কলেজ অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে সরানোর চেষ্টা করছেন। এমন অভিযোগ কলেজটির অধ্যক্ষসহ প্রায় সবার মুখে মুখে।
জানা যায়, ৭৬ হাজার টাকা বেতন নেওয়া আলোচিত নারী প্রভাষক তৃতীয় বিভাগ থাকার তথ্য গোপন করে তার ছোট বোনকে চাকরি দিয়েছিলেন এই কলেজে। কলেজটিতে শিক্ষকদের তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারি ঘোষণার পর পরিদর্শনকালে ধরা পড়ে। চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয় তার ছোট বোন। এরপরই রাজ্জাকের সহযোগীতায় কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হন এই নারী শিক্ষক।