প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চাকরি পেলেন ছাত্রশিবিরের হামলায় পা হারানো ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ-আল-মাসুদ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে সেকশন অফিসারের সমমানে রাবির চিকিৎসা কেন্দ্রে স্টোর অফিসার পদে তাকে নিয়োগ প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যে ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ চাকরিতে যোগদান করেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিকে চাকরিতে যোগদানের পর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ।
জানা গেছে, গত ৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মীর তাফেয়া সিদ্দিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পাঠানো চিঠিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার পদে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ নিয়োগ দিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ ডিসেম্বর নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে স্টোর অফিসার পদে নিয়োগ প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নিয়োগপত্র পেয়ে ২২ ডিসেম্বর চাকরিতে যোগদান করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ বলেন, শিবিরের হামলায় আহত হওয়ার পর থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আমার খোঁজখবর রেখেছেন ও উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। আমার চাকরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশও করেছেন। কিন্তু জটিলতা থাকায় আমার চাকরি পেতে বিলম্ব হচ্ছিল। চাকরির জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও লিটন ভাইয়ের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘রাবিতে ছাত্রশিবিরের হামলায় পা হারানো ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদের চাকরি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তৃণমূলের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের সামনে ছাত্রলীগ নেতা মাসুদের ওপর হামলা চালায় শিবির কর্মীরা। তারা মাসুদের ডান পায়ের নিচের অংশ গোড়ালি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তিনি তৎকালীন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।
এরপর রাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান তার মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে (৫ মে ২০২১) ১৩৮ জনকে ‘অ্যাডহক’ এ নিয়োগ প্রদান করেন। এই নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে নির্যাতিত ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ ছিলেন। বর্তমানে এটি হাইকোর্টে বিচারাধীন থাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত বাকি ১৩৭ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এখনো যোগদান করতে পারেনি। নিয়োগপ্রাপ্ত এই ১৩৭ জন চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।