রাবিতে পরিবহন সেবা বন্ধ থাকলেও ফি দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক |
করোনার শুরু থেকে বন্ধ রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে পরিবহন সেবাও। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেবা না নিলেও এ বাবদ ফি দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
 
গত এক বছরে পরিবহন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় হবে কোটি টাকার বেশি। তবে সেটি ফেরত দেয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দফতর। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখা সূত্রে জানা গেছে, পরিবহন বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি বছরে ৩৬০ টাকা করে ফি নেয়া হয়। এই হিসাবে প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর থেকে বছরে আয় হবে ১ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
 
ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শুধু পরিবহন নয়, আবাসিক হলের ভাড়াও নিচ্ছে প্রশাসন। যেহেতু আমরা সেবা নিইনি সে কারণে অন্যায়ভাবে ফি চাপিয়ে না দিয়ে প্রশাসন এই ফি মওকুফ করতে পারতো।’ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালে সব ফি মওকুফের দাবি জানান তিনি।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. এফ এম আলী হায়দার জানান, ২০০৯ সালে তৎকালীন প্রশাসন শিক্ষক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য পরিবহন ব্যবহার না করলেও ফি দেয়া বাধ্যতামূলক করে। তবে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তা ছিল না।
 
করোনার কারণে এই সেবা না নিলেও ফি মওকুফের ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবহন দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক মোকছিদুল হক বলেন, ‘ফি মওকুফের বিষয়টি পরিবহন দফতরের এখতিয়ারে নেই। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দফতরের পরিচালক আফসার আলী বলেন, ‘সেবা না নিলেও শিক্ষক থেকে কর্মচারীদের ফিগুলো পরিশোধ করতে হবে। পরিবহন বাবদ আয় হওয়া অর্থগুলো ফেরত দেয়ার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় হিসেবেই এটি দেখানো হবে।’

পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026841163635254