রাবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রেফারিকে রড দিয়ে মার*ধর

রাবি প্রতিনিধি |

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় রেফারির পেনাল্টি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে খেলা শেষে রেফারিকে রড দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। 

গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এই ঘটনা ঘটে।  

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, খেলা শেষে ১-১ গোলের সমতায় খেলা গড়ায় ট্রাইবেকারে। ট্রাইবেকারে ২-০ ব্যবধানে অর্থনীতি বিভাগে পরাজিত হয়। মুলত অর্থনীতি বিভাগের বিপক্ষে পেনাল্টি দেওয়ায় সমতায় ফেরে ফিন্যান্স বিভাগ। আর তাই হলে গ্যালারির তারকাটা কেটে অর্থনীতি বিভাগের তপু, আনু ও মাহমুদসহ ২০ থেকে ২৫ জন মাঠে উত্তেজিত হয়ে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে একজন রড নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে রেফারিকে আঘাত করে।

আরো পড়ুন:

৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ইউজিসির সুপারিশ

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো সুযোগ পাচ্ছে ভর্তিচ্ছুরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদেরকে আটকায়। এ সময় প্রশাসন রেফারিকে উদ্ধার করে স্টেডিয়ামের কক্ষে নিয়ে যায়। পরে অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে প্রশাসন আটকে রাখে। যদিও পরে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসে তাকে নিয়ে যায়। খেলায় মাঠে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। পরিস্থিতি শান্ত করতে দ্রুত পুরস্কার বিতরণী শেষ করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ছাত্রদের কাছে এ ধরনের আচরণ খুবই দুঃখজনক। খেলায় তো জয় পরাজয় থাকবেই কিন্তু এ ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত। ছাত্রদের থেকে এ ধরনের আচরণ আশা করা আমাদের জন্য খুবই দুঃখের বিষয়।

কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে। তখন ওই মুহূর্তে যেটা প্রয়োজন ছিল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। যেন ঘটনা বড় না হয়। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে গেলে ঘটনা আরও বড় হতো। ওখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সকলেই উপস্থিত ছিল। পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, যে শিক্ষার্থী রেফারিকে মারধর করেছে তাকে আমরা আটক করেছিলাম। পরে বিভাগের সভাপতির তত্ত্বাবধানে আমরা তাকে ছেড়ে দেই। বিষয়টি নিয়ে ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতার দাবি - dainik shiksha পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতার দাবি শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না - dainik shiksha শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে - dainik shiksha ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে ‘রাজাকার’ স্লোগানের ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ - dainik shiksha ‘রাজাকার’ স্লোগানের ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ উচ্চশিক্ষায় ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ - dainik shiksha উচ্চশিক্ষায় ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0077908039093018