রাবির সাবেক শিবির নেতা ইমনের আত্মসমর্পণ

দৈনিক শিক্ষাডটকম, রাবি |

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহীতে আলোচিত পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যা মামলার এক আসামি আশরাফুল ইসলাম ইমন আত্মসমর্পণ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আশরাফুল ইসলাম ইমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি। পরে, তিনি রাজশাহী মহানগর শিবিরেরও সভাপতি ছিলেন। এ মামলাটি ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলেন, ইমন পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যার বিস্ফোরক মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইমনের বিরুদ্ধে রাবি ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হত্যা, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হামলা, ইট দিয়ে পুলিশের মাথা থেঁতলে দেয়া, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিনের ওপর নৃশংস হামলার পর পায়ের রগ কেটে দেয়া, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তাকিমের রগ কেটে দেয়া এবং আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে বাস পোড়ানোসহ অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মোট ৪২টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে একাধিক মামলা এখনো চলমান আছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ ডিসেম্বর রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার রাজাহাতা লোকনাথ স্কুল মোড়ে তৎকালীন ১৮-দলীয় জোটের সমাবেশ থেকে পুলিশের চলন্ত ট্রাকে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় পুলিশের বেশ কিছু সদস্য আহত হন। এর মধ্যে আহত কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকারের অবস্থার গুরুতর হলে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কনস্টেবল সিদ্ধার্থ মারা যান। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরো আহত হন ৮ পুলিশ সদস্য।

ওই রাতেই বোয়ালিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তৎকালীন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর বিএনপি সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপি সভাপতি নাদিম মোস্তফা ও মহানগর জামায়াত সহকারী সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১৮ দলের সাড়ে ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আবেদনের যোগ্যতা নেই তবু শিক্ষক - dainik shiksha আবেদনের যোগ্যতা নেই তবু শিক্ষক শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে - dainik shiksha শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে হা*তুড়ি পেটা - dainik shiksha কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে হা*তুড়ি পেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএমজিএসে মাস্টার্স করার সুযোগ - dainik shiksha ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএমজিএসে মাস্টার্স করার সুযোগ সাত কলেজে চূড়ান্ত ধাপের বিষয় বরাদ্দ ৩ অক্টোবর - dainik shiksha সাত কলেজে চূড়ান্ত ধাপের বিষয় বরাদ্দ ৩ অক্টোবর প্রধান শিক্ষককে তাড়িয়ে চেয়ারে বসলো ছাত্র! - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে তাড়িয়ে চেয়ারে বসলো ছাত্র! সেন্ট যোসেফে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি আবেদন শুরু - dainik shiksha সেন্ট যোসেফে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি আবেদন শুরু দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.005673885345459