ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজ যোগে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আসা ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন কয়লা শনিবার সকালে মোংলা বন্দরে খালাস শুরু হয়েছে। জাহাজ থেকে খালাস শেষে লাইটার জাহাজে করে এ কয়লা যাচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে। পরে সেখান থেকে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে কেন্দ্রটির গোডাউনে।
কয়লা নিয়ে আসা চীনের পতাকাবাহী এম.ভি. জে হ্যায় নামক জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক জানান, আমদানি করা কয়লা নিয়ে গত ২১ মে জাহাজটি মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে ছেড়ে আসে। ১৯ দিনের মাথায় জাহাজটি শুক্রবার রাতে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় এসে পৌঁছায়। এরপর সেখান থেকে জাহাজটি শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১১নম্বর এ্যাংকোরেজে ভেড়ে। জাহাজটি ভেড়ার পর সকালে শুরু হয় কয়লা খালাস।
তিনি বলেন, এর আগে গত ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এম.ভি. বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ও ২৯ মে এম.ভি. বসুন্ধরা ম্যাজেস্টি জাহাজে ৩০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা মোংলা বন্দরে আসে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১১ জুলাই রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বয়লার স্টিম ব্লোয়িং স্থাপন করা হয়। এক মাস পরে ১৪ আগস্ট টারবাইন-এ স্টিম ডাম্পিং এবং একদিন পর ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ (ট্রান্সমিশন) শুরু করা হয়। পরে ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হয় রামপালের বিদ্যুৎ। পরে ২০২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি। এর প্রায় এক মাস পর ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।
এরপর গত ১৫ এপ্রিল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর চার দিন পর এটি আবার চালু হয়। কিন্তু কয়লার অভাবে ২৪ এপ্রিল থেকে এটি আবার বন্ধ হয়ে যায়।