রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধান। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অন্য সব ব্যক্তির ঊর্ধ্বে অবস্থান করেন। সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকায় বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি অনেকাংশেই একটি আলংকারিক পদ। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আলংকারিক প্রধান হলেও তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে তিনি প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নিয়োগ দেন। রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ করেন। তাছাড়া বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে (যেমন: প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার, মহাহিসাব নিরীক্ষক, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য ইত্যাদি) এবং তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়োগ দেওয়া রাষ্ট্রপতির কাজ। মঙ্গলবার (১৪ জুন) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও জানা যায়, জাতীয় সংসদে কোনো বিল পাশ হলে তা রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে আইনে পরিণত হয়। সংসদ অধিবেশনে না থাকলে কিংবা সংসদ ভেঙে গেলে প্রয়োজনবোধে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ প্রণয়ন করতে পারেন। জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত ও প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে ভেঙে দিতে পারেন। তিনি সংসদে উপস্থিত না হয়েও বাণী দিতে পারেন। অর্থ বিল সংসদে উত্থাপনের জন্য অবশ্যই রাষ্ট্রপতির পূর্ব অনুমতি প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতি সরকারি অর্থের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। কোনো কারণে সংসদ কোনো অর্থ মঞ্জুর করতে না পারলে রাষ্ট্রপতি ৬০ দিনের জন্য সংশ্লিষ্ট তহবিল থেকে সে অর্থ মঞ্জুর করতে পারেন। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় চুক্তি, দলিল রাষ্ট্রপতির নির্দেশ মোতাবেক সম্পাদিত হয়। রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের দ্বারা বাংলাদেশ বা তার কোনো অংশ যে কোনো নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক জীবন বিপদের সম্মুখীন তবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১২০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।
রাষ্ট্রপতি কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করতে পারেন। রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমতি ছাড়া বাংলাদেশের কোনো নাগরিক বিদেশি রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো খেতাব, সম্মান, পুরস্কার বা ভূষণ গ্রহণ করতে পারে না। রাষ্ট্রপতি দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় খেতাব, সম্মানা ও পদক প্রদান করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির শপথবাক্য পাঠ করান। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে তিনি সভাপতিত্ব করে থাকেন। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান নন। কিন্তু রাষ্ট্রপতির নামে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। প্রজাতন্ত্রের সব কার্যক্রম রাষ্ট্রপতির নামেই পরিচালিত হয়। সরকারের সব প্রশাসনিক কাজও রাষ্ট্রপতির নামে সম্পাদিত হয়। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকালে দেশের কোনো আদালতে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের বা গ্রেফতার বা কারাবন্দির জন্য পরোয়ানা জারি করতে পারে না।
রাষ্ট্রপতির পদ অতীব সম্মানের। রাষ্ট্রপতিকে সম্বোধন করতে আমরা তাই ‘মহামান্য’ শব্দ ব্যবহার করে থাকি। তাকে দলের ‘শিখণ্ডী’ হিসাবে না দেখে রাষ্ট্রের প্রতীক হিসাবে দেখা হয়। দেশের রাজনীতি বা রাজনীতিকের খবর মানেই যেন বিরোধ-বিসম্বাদের একঘেয়েমি। প্রায় প্রতিষ্ঠিত এ নিয়মের ব্যত্যয় বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সত্যিকারের সাধারণ মানুষের নেতা, তিনি অতি সরল ও সৎ। তিন মিতব্যয়ী এক রাষ্ট্রপতি। সিঙ্গাপুর সফরের সময় রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে প্রাপ্য সুবিধা না নিয়ে দেশের টাকা বাঁচানোর খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। রাষ্ট্রের খরচ বাঁচাতে সিঙ্গাপুরে দৈনিক সাত হাজার ডলারের হোটেল স্যুইটের বদলে কম দামি হোটেলে ৬০০ ডলারের স্যুইটে থেকেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ হোটেলের খাবারের দাম বেশি, তাই বাইরে থেকে কম দামে আনিয়েছেন বাঙালি খাবার। বিদেশে খরচ বাঁচাতে সামরিক সচিব, সচিব ও ব্যক্তিগত সচিবকে চড়িয়েছেন একই গাড়িতে। রাষ্ট্রপতি হিসাবে দ্বিতীয়বার সিঙ্গাপুর সফরকালে মিতব্যয়িতার এ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
এমন একজন রাষ্ট্রপতির আদেশ-নির্দেশকে অসম্মান করার কোনো প্রশ্নই আসে না। কিন্তু অন্তত দুটি ঘটনা আমার নজরে এসেছে, যেখানে রাষ্ট্রপতির আদেশ তামিল না করে বরং অপারগতার কথা জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দুজন অধ্যাপককে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগদান করেছেন, কিন্তু তারা যোগদান করবেন না বলে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। উপরন্তু কারও কারও পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, ‘সব শিক্ষক উপাচার্য হতে চান না, কেউ কেউ শিক্ষক থেকে যেতে চান।’ যাকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি এমন শিক্ষকের পক্ষ থেকে এরূপ প্রচারণা দোষের কিছু নয়। বরং এরূপ প্রচারণা ওই শিক্ষকের নির্লোভ-নির্মোহ চরিত্রের প্রকাশ। কিন্তু যাকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং যিনি এটি গ্রহণ করেননি, তার পক্ষ থেকে এমন প্রচারণা মহামান্য রাষ্ট্রপতির দিকে অভিযোগের তির নির্দেশ করে। এমন প্রচারণার অন্তত দুটি অর্থ হতে পারে-এক. যাকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি কিছুই জানতেন না। হঠাৎ করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারছেন না। দুই. নিয়োগের আদেশ জারি করার আগে তাকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তিনি এরূপ দায়িত্ব গ্রহণে অপারগতার কথা জানানোর পরও তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাই তিনি রাষ্ট্রপতির আদেশ তামিল করতে অপারগ। কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়ে চুপিসারে কিংবা অস্বীকৃতি জানানোর পরও কাউকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দান কেবল অসমীচীনই নয়, বরং এটি অযথাযথও। কেননা এর ফলে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ তামিলে যে অবমাননা ও অমর্যাদাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি অনুসন্ধান করে ও কয়েকজন সাবেক উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে, বাংলাদেশ সৃষ্টির পর কাউকে না জানিয়ে কিংবা কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়নি।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু নিজে খ্যাতনামা অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। আর গত কয়েক দশক ধরে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতির প্রচলন আছে তাতে যিনি উপাচার্য বা উপ-উপাচার্য হতে চান তিনি নিজে কিংবা তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা এই আগ্রহের কথা যথাযথ কর্তৃপক্ষ তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানান। এক্ষেত্রে আগ্রহী প্রার্থী সাধারণত তার জীবনবৃত্তান্ত মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। মন্ত্রণালয় তার নিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী হলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তার ও তার পরিবারের নাড়ি-নক্ষত্র খুঁজে বের করেন। রাষ্ট্রের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দফায় দফায় তার সঙ্গে কথা বলেন। গোয়েন্দা সংস্থা তার কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসচিব প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আনুষ্ঠানিকভাবে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে বলেন, যা সাধারণত ই-মেইলের মাধ্যমে পদপ্রার্থী মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। এই প্রক্রিয়ায় প্রার্থী অনুধাবন করতে পারেন তার কাঙ্ক্ষিত নিয়োগের ফাইল নড়াচড়া করতে শুরু করেছে। তার স্বপ্নেরা পাখা মেলতে শুরু করেছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তার নোটিং শেষে তা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠান। শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের অনুমোদনের পর ফাইল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। প্রয়োজনবোধে এই পর্যায়েও অরেক দফা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের একাধিক টেবিলে নোটিং শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওই প্রার্থীর ফাইল অনুমোদন করলে তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করলে ফাইল নানা ধাপ পেরিয়ে আবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ফেরত আসে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা রাষ্ট্রপতির আদেশের উদ্ধৃতি দিয়ে নিয়োগপত্র জারি করেন।
উদাহরণস্বরূপ, ‘রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় আইন,...(সন)-এর ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগের অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ করা হলো।’ তার মানে কাউকে উপাচার্য কিংবা উপ-উপাচার্য নিয়োগে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ হঠাৎ করে আকাশ থেকে গায়েবি আদেশের মতো অবতীর্ণ হয় না। উপাচার্য কিংবা উপ-উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ এবং পদপ্রার্থীর গোচরীভূত। নিজে কিংবা অন্যদের মাধ্যমে আগ্রহ প্রকাশ ছাড়াও জীবনবৃত্তান্ত জমাদানের মাধ্যমে পদপ্রার্থী নিয়োগ বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি জানিয়েছেন। এই অবস্থায় নিয়োগপত্র গ্রহণ না করার মধ্যে কোনো হিরোইজম, অ্যাভেঞ্চারিজম বা মহানুভবতা প্রদর্শনের সুযোগ নেই। বরং রাষ্ট্রপতির আদেশ তামিল না করার মধ্যে ডিসঅবিডিয়েন্স রয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ আমাদের মতো আমজনতার কোনো আদেশ নয়, এটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির সুপিরিয়র কমান্ড। তদুপরি মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর হিসাবে সর্বোচ্চ অভিভাবক। কাজেই একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক চ্যান্সেলরের বৈধ আদেশ পালন করতে আইনতভাবে বাধ্য। কখনো কখনো কোনো প্রার্থী যে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের আশা করেছিলেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে না হয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। কেবল বিশ্ববিদ্যালয় মনমতো হয়নি বিধায় কিংবা অন্য কোনো কারণে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিয়োগ আদেশ অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ এক ধরনের ‘ইন সাবর্ডিনেশন’। তদুপরি একজন উপাচার্য নিয়োগের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ জারি করতে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গোয়েন্দা এজেন্সিসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনরত বহু মানুষের শ্রমঘণ্টা ব্যয় এর সঙ্গে জড়িত। এসব উপেক্ষা করা যেতে পারে কি?
রাষ্ট্রপতির পদ অতি মর্যাদাসম্পন্ন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার সারল্য, সদাচার, দেশপ্রেম, সততা ও মিতব্যয়িতা দিয়ে রাষ্ট্রপতির পদকে মহত্তর করে তুলেছেন। এমন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত নিয়োগ আদেশ কেউ ফিরিয়ে দেবেন, অপারগতা প্রকাশ করবেন, উপেক্ষা করবেন, এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। অনেক প্রতিষ্ঠানকে আমরা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিতর্কিত করে ফেলেছি, মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা যাতে কোনোভাবেই বিতর্কিত না করি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত নিয়োগ আদেশ গ্রহণে যাতে কেউ ইচ্ছামাফিক অস্বীকৃতি বা অপারগতা জানিয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন না করতে পারে সেজন্য রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির বিষয়ে আরও সতর্কতা আবশ্যক।
লেখক : মো. জাকির হোসেন, অধ্যাপক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়