রাষ্ট্রের ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা ফেরত দেওয়ায় সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে ৫টি দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
এই টাকা তিনি স্পিকার থাকাকালে চিকিৎসার জন্য তুলেছিলেন।
তার আইনজীবী ব্যাংকের পেমেন্ট স্লিপ জমা দিলে রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর রেজাউল করিম রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর জমির উদ্দিনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছিল।
অন্য ২ অভিযুক্ত হলেন-সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী ও সংসদ সচিবালয়ের সাবেক প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফ-উল-ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জমির উদ্দিন সরকার বিদেশে চিকিৎসার নামে প্রায় ২৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। স্পিকার হিসাবে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি নিজেই এর অনুমোদন দিয়েছিলেন।
২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৭ নভেম্বর ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জহিরুল হক তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
ওই আদেশের পর জমির উদ্দিন সরকার মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে পৃথক ৫টি রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট এক রায়ে বলেন, বিচার কাজ চলবে।
এরপর জমির উদ্দিন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে, হাইকোর্টের আদেশ বাতিল হয় এবং ৫টি মামলা বাতিল করে তাকে সরকারি অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ চলতি বছরের ১২ মার্চ আজকের মধ্যে অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আজ অর্থ ফেরত দিয়ে মামলা থেকে রেহাই পেলেন প্রবীণ এই পার্লামেন্টারিয়ান।