নাটোরের বড়াইগ্রামে চলাচলের রাস্তা ভেঙে পুকুরে ধসে পড়েছে। এতে মাড়িয়া মাহমুদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মদরাসা ও পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এ ছাড়া স্থানীয় মসজিদের মুসল্লিসহ গ্রামের বাসিন্দারাও পড়েছেন দুর্ভোগে।
জানা যায়, উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে দ্বীনি শিক্ষার জন্য একটি মাদরাসা ও পাশে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কিছুদিন আগে গ্রামবাসী মাদ্রাসার পাশে একটি মসজিদও তৈরি করেছেন। এ সব প্রতিষ্ঠানসহ গ্রামবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে কাঁচা রাস্তাটি এইচবিবিকরণ করা হয়। কিন্তু মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তাসংলগ্ন একটি সরকারি খাস পুকুরে মাছ চাষের ফলে প্রতিনিয়তই চারদিকের পাড় ভেঙে পড়ে। এতে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে রাস্তা ভেঙে যাচ্ছিল। সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে রাস্তার অবশিষ্ট অংশটুকুও প্রায় পুরোটাই ভেঙে পুকুরে পড়ে গেছে। মাত্র আধা ফুট পরিমাণ রাস্তা এখনও রয়েছে। এতে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মসজিদের মুসল্লি ও গ্রামের লোকজন এ সরু পথেই দেয়াল ধরে কোনো রকমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
এদিকে দ্রুত রাস্তাটি পুনঃনির্মাণ করা না হলে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরও পুকুরে ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মদরাসার শিক্ষার্থী ওমর ফারুক ও রোহানা খাতুন জানান, যেটুকু রাস্তা অবশিষ্ট আছে, তাতে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে চলা কঠিন। সব সময় পুকুরে পড়ে যাওয়ার ভয় নিয়ে হাঁটতে হয়। মাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোকেয়া খাতুন ও বেলাল হোসেন বলে, এ ভাঙা রাস্তার কারণে বাড়ি থেকে স্কুলে আসতেই ভয় লাগে। আমরা পূজার ছুটির মধ্যেই রাস্তাটি ঠিক করে দেওয়ার দাবি জানাই।
মাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুন বলেন, পুকুরের কারণে যেভাবে রাস্তা ভেঙে গেছে, তাতে যে কোনো সময় বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাড়িয়া মাহমুদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল বারিক বলেন, দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় আসা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সমস্যাটি সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেব।