মাধ্যমিক শিক্ষা জাতিয়করণের দাবিতে টানা ২১ দিনে অবস্থান শেষে আমরণ অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা আসতেই পারে। তবে এতোটুকু বলতে পারি, শিক্ষকদের এ আন্দোলন বিলাসিতার জন্য নয়, শুধুই রুটি রুজির জন্য। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আজ অসহায়।
সন্তান যেমন তাদের দাবি-দাওয়া মা-বাবার কাছে চাইবে তেমনি রাষ্ট্রের প্রজারাও তাদের দাবি-দাওয়া রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে চাইবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী তার ‘অভিভাবকতুল্য আচরণে’ শিক্ষকদের মনে সন্তুষ্টি আনতে পারননি, তা মোটামুটি স্পষ্ট। তাইতো প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেয়ে তুষ্ট হতে চাচ্ছেন শিক্ষকরা।
প্রতিকূল আবহাওয়া, ডেঙ্গুর ঝুঁকি নিয়ে বয়স্ক শিক্ষক, সন্তানসহ শিক্ষিকা আজ রাস্তায় দিনের পর দিন অতিবাহিত করলেও জাতির বিবেক যেনো অনড়। পুরো শিক্ষক সমাজকে লাঞ্ছিত অপমানিত করলেই কি সফলতা ফিরে আসবে?
শিক্ষকরা রুটি-রুজির দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কার কাছে যাবেন? কে সান্ত্বনা দেবেন শিক্ষকদের? দুষ্ট লোকের ছায়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাওয়া শর্তহীন ৫ মিনিট সময় ডুবে যাচ্ছে। সক্ষমতার অভাবে থাকা বাবা যেমন তার সন্তানের মাথায় হাত বুলিয়ে আশার আলো দেখান, এমনটাও কি হতে পারে না? নিশ্চয়ই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় শিক্ষকরা তাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে বাড়িতে ফিরবেন-সেই প্রত্যাশায়।
লেখক : বশিরুল আমিন, সহকারী শিক্ষক ছোটবগী কমডেকা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, তালতলী, বরগুনা।