রেল কর্মকর্তার অপসারণ ও দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে কুড়িগ্রামে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

দৈনিক শিক্ষাডটকম, কুড়িগ্রাম |

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার আব্দুস সালাম ও সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলাম মানিকের অপসারণ এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তদন্ত দাবি করে কুড়িগ্রামে ট্রেন আটকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  

বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এ প্রতিবাদী কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সংহতি প্রকাশ করে রেল-নৌ যোগাগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি।

কর্মসূচির শুরুতে রেলওয়ে স্টেশনে শিক্ষার্থী ও উপস্থিত যাত্রীরা মানববন্ধন করেন। পরে রংপুরগামী চিলমারী কমিউটার ট্রেনটি আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চিলমারী কমিউটার ট্রেনটি অকেজো অবস্থায় রয়েছে, ট্রেনটির সিট, বাতি ও ফ্যানগুলো অকেজো। বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাকে বার বার বলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হয়ে ডিসি, ইউএনওর ফোন রিসিভ করেন না। সাধারণ জনগণ তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। আমরা তার এবং সহকারী পরিবহন কর্মকর্তার অপসারণ চাই। সেই সঙ্গে তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তদন্ত দাবি করছি। 

খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মিলন মিয়া বলেন, বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা বাস মালিক সমিতির কাছ থেকে ১৫ শতাংশ কমিশন নেন। তিনি কুড়িগ্রামের ট্রেনগুলোকে সিডিউল বিপর্যয় রোধে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেননি। বার বার বলার পরও আমাদের উপেক্ষা করেছেন। আমরা তার অপসারণ দাবি করছি।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে গণকমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজারহাট-তিস্তা রুটের ১০ ফিটের কালভার্টটি জোড়া-তালি দিয়ে চলছে। একাধিকবার সংস্কারের করতে বলা হলেও তিনি উদ্যোগ নেননি। ঢাকাগামী ট্রেনটি রাচারহাটে স্টপেজ দিতে বলা হচ্ছে, তাও করেননি। অবহেলিত এ জেলায় লোকাল ট্রেনটি দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে, সেটি চালু করছেন না। আমরা তার দ্রুত অপসারণ চাই, তার অপকর্মের তদন্ত দাবি করছি। 

পরে কর্মসূচি শেষ করে একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দেয় আন্দোলনকারীরা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প - dainik shiksha নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি - dainik shiksha শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027749538421631