উদ্বোধন হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে তেজগাঁও (ফার্মগেট) পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটারের এ পথ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। র্যাম্পসহ এ পথের মোট দৈর্ঘ্য সাড়ে ২২ কিলোমিটার। তবে উদ্বোধনের দিনেই সাধারণ যানবাহন চলাচল করবে না। যানবাহন চলবে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে।
বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত মোট র্যাম্প ১৫টি। এর মধ্যে ১৩টি র্যাম্প খুলে দেওয়া হচ্ছে যানচলাচলের জন্য। তবে বনানী ও মহাখালীর দুটি র্যাম্প দুটি এখনই খুলছে না।
এসব তথ্য জানিয়ে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, শনিবার উদ্বোধন হলেও যানবাহন চলাচল করবে রোববার সকাল ৬টা থেকে। বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত মোট র্যাম্প ১৫টি। এর মধ্যে ১৩টি র্যাম্প খুলে দেওয়া হবে। বনানী ও মহাখালীর দুটি র্যাম্প এখনই খুলছে না।
অন্যদিকে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গতি নিয়ন্ত্রণে নতুন করে স্পিড লিমিট নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলার কথা থাকলেও শুরুতে আংশিক পথে সর্বোচ্চ গতি হবে ৬০ কিলোমিটার। র্যাম্পগুলোতে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সমন্বয় করা হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে। আর এ পথে কোনো থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও পথচারী চলাচল করতে পারবে না।
সেতু বিভাগের তথ্যমতে, ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়াল সড়কে র্যাম্প ১১ কিলোমিটার। বিমানবন্দর কাওলা থেকে মোট ১৫টি র্যাম্প নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি খুলে দেওয়া হচ্ছে। বনানী ও মহাখালী র্যাম্প এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়াল সড়ক) পুরোটা যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত। চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল লেনের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলা থেকে তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত দৈর্ঘ্য সাড়ে ১১ কিলোমিটার। এ অংশটি খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ হলে বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই পাড়ি দেওয়া যাবে যাত্রাবাড়ী। ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কি.মি দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিমি।