কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বন্যহাতি তাণ্ডব চালিয়ে বিভিন্ন ফসলে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। দিন শেষে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই আন্তর্জাতিক ১০৭১-৭২ নম্বর মেইন পিলার অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভূট্টা, সরিষা, বোরো ধানের বীজতলাসহ প্রায় ১০ বিঘা জমির বিভিন্ন ফসল খেয়ে সাবার করছে হাতির দল। অপর দিকে জমিতে রাখা শ্যালোমেশিনগুলো হাতির সুঁড় প্যাচিয়ে পায়ের তলে ফেলে নষ্ট করেছে।
গতকাল রোববার রাতে ভারত থেকে বন্যহাতি বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের আলগারচর ও রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী ও মিয়া পাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে তাণ্ডব চালায়। স্থানীয়রা বলছেন, হাতির পাল প্রতিদিন সন্ধ্যায় আসে আর ভোর রাতে চলে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রবিউল ইসলাম, ওহিদুর রহমান, শফিউল আলম, ফরজ আলী, হোসেন আলীসহ আরও অনেকেই দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রতি বছর ফসলের মৌসুমে ভারতীয় বন্যহাতি তাণ্ডব চালিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে যায়। হাতি তাড়াতে আতশবাজি, ঢোল-ঢাক ব্যবহার করা হয়। আগুনের জ্বালিয়েও তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। বন্যহাতির অনুপ্রবেশ বন্ধ না করলে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবো।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তারেক রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সীমান্তে বন্যহাতির তাণ্ডবে কৃষকের প্রায় ১০ বিঘা জমির ভূট্টার, সরিষা, বোরোধানের চারাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি করেছে। এবিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
বিজিবির জামালপুর ৩৫ ব্যাটালিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (এডি) শামছুল আলম দৈনিক শিক্ষাডকমকে বলেন, বন্যহাতি বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কৃষকের অনেক ফসলের ক্ষতি করে। এজন্য সীমান্তবাসীদের সতর্ক থাকতে ও ঢাকঢোল, টিন বাজিয়ে হাতির দলকে তাড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পাশাপাশি ভারতের বিএসএফ কৃর্তপক্ষের সঙ্গে এ সমস্যা নিরসনে আলোচনা করা হবে।