রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। রসায়ন বিভাগের সিনিয়র ছাত্রের হাতে র্যাগিংয়ের সময় আহত হয় একই বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম মুসাব্বির। গতকাল শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, রসায়ন বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহিম, শিবলি সাদিক, ১১তম ব্যাচের রওশন, ১২তম ব্যাচের সাকিব, বাপ্পী ও কামরুল।
জানা গেছে, রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের কয়েকজন শিক্ষার্থী একই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সিয়াম মুসাব্বিরকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। র্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থী সিয়াম বর্তমানে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানান, আহত সিয়ামের কিছু পরীক্ষা করাতে হবে। তাহলে তার শারীরিক অবস্থা বোঝা যাবে। পরীক্ষায় রিপোর্ট হাতে না পেলে কিছু বলা যাচ্ছে না।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বন্ধুরা অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে বন্ধুরা আড্ডা দেওয়ার সময় মাসুম নামে একজন সিয়ামকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘তাকে বড় ভাইয়েরা স্বাধীনতা স্মারকে ডাকছে। সিয়াম সেখানে পৌঁছানোর পরে রসায়ন বিভাগের কয়েকজন সিনিয়র তাকে কোনো কথা ছাড়াই মারধর শুরু করেন। এ সময় সিয়াম তার বন্ধুদেরকে ডাকাডাকি শুরু করে। তার বন্ধুরা সেখানে দৌড়ে গিয়ে দেখেন, সিয়াম অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক বিজন মোহন চাকী বলেন, ঘটনার কথা জেনেই আমরা তিন সহকর্মী তাকে হাসপাতালে দেখতে যাই। সে বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক নুরুজ্জামান খান বলেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সিয়াম কয়েকবার বমি করেছে। বর্তমানে স্যালাইন চলছে। ডাক্তাররা বলেছেন, সে আশঙ্কা মুক্ত। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক সিয়ামের খোঁজখবর নিচ্ছি। বর্তমান সে কিছুটা ভালো বোধ করছে বলে আমাদের জানিয়েছে। তার বড় কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা সেটি দেখতে তার কিছু পরীক্ষা করা হবে।