রাজধানীর গুলশানে ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বেরিয়ে আসছে নতুন সব তথ্য। মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের ওই ছাত্রীর পরিবার কুমিল্লায় থাকত। তবে তিনি থাকতেন ঢাকায়। ঢাকার ক্যান্ট পাবলিক কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করতেন। দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী গুলশানের ১২০ নম্বর রোডের যে বাসায় ভাড়া থাকতেন, তার ভাড়া ছিল এক লাখ টাকা।
আরও পড়ুন : দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
দৈনিক শিক্ষা পরিবারের নতুন সদস্য ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, বাসাটির বাড়িওয়ালার কাছ থেকে পাওয়া চুক্তিপত্র অনুযায়ী ফ্ল্যাটটি মার্চ মাসের ১ তারিখে ভাড়া নেন মুনিয়া। তিনি আরও জানান, চুক্তিপত্র অনুযায়ী অগ্রিম ২ লাখ টাকা দিয়ে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে ওই বাসায় একাই থাকতেন কলেজছাত্রী।
কী ঝামেলায় পড়েছিল কলেজ ছাত্রী মোসারাত, নানা রহস্য
ছাত্রীর লাশ, বসুন্ধরার এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সুদীপ আরও জানান, মুনিয়া কুমিল্লা শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমানের মেয়ে। তার পরিবার কুমিল্লায় থাকলেও মুনিয়া একাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। দেশের একটি শীর্ষ স্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মোসারাত জাহানের পরিচয় ছিল। ওই ফ্ল্যাটে তার যাতায়াতের বিষয়েও তথ্য পাওয়া গেছে।
যা আছে সেই কলেজ ছাত্রীর ডায়েরিতে
কী ঝামেলায় পড়েছিল কলেজ ছাত্রী মোসারাত, নানা রহস্য
পুলিশ আরও জানায়, শিল্পপতির ওই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের অভিযোগ করেছেন মুনিয়ার বড় বোন। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া একটি ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে মনোমালিন্য আরও ঘনীভূত হয়।
‘কলেজ ছাত্রী মুনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে’
তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনার পর সোমবার রাত দেড়টার দিকে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান। মামলা করে থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।