লাঞ্ছিত ও অপমানিত শিক্ষক সমাজ

কায়ছার উদ্দীন আল-মালেকী |

জ্ঞানই আলো। জ্ঞানই মুক্তি। জ্ঞানই শক্তি। মানুষকে মুক্তির পথ দেখায়। জ্ঞান মানুষকে সত্যপথে চালায়। জ্ঞান মানুষকে ভ্রষ্টতা থেকে রক্ষা করে। জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান। যে জাতির কাছে জ্ঞান ও বিজ্ঞান নেই সে জাতি একটি অথর্ব জাতি ছাড়া আর কিছু নয়। যে জাতি জ্ঞানীদের সম্মান করে না সে জাতি একটি বর্বর জাতি। ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, যে দেশে গুণীর কদর নেই, সে দেশে গুণীর জন্ম হয় না। মানুষ জ্ঞানীদের সম্মান না করলেও জ্ঞানীরা ইতিহাসে পাতায় অমর হয়ে আছেন। ২০২৪ এর গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের স্বৈরশাসনের পতনের ইতিহাস। স্বৈরশাসনের পতনের পরপরই আমরা দেখেছি আরেকটি ভিন্নচিত্র। আর তাহলো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তথা শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা। এ ব্যাপারটি আমার কাছে খুবই লজ্জাজনক মনে হলো।

যারা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না, তারা কিন্তু স্বৈরাশাসক। আর জালিমের পতন হয় খুবই নির্মমভাবে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা যুগ যুগ ধরে দুর্নীতিগ্রস্ত। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে কমিউনিষ্ট আর উগ্রপন্থীরা। যার ফলে শিক্ষাব্যবস্থায় সবসময় সরকারদলীয় একটা প্রভাব থেকে থাকে। এজন্য শিক্ষক সমাজ রাজনীতির মারপ্যাঁচ থেকে বের হতে পারেন না। প্রতিটি সরকারদলীয় পার্টি তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য একেক সময় একেক পাঠ্যনীতি বা পাঠ্য কারিকুলাম প্রণয়ণ করা হয়। শিষ্টাচার, আদব-কায়দা, নীতি-নৈতিকতা, গুরুভক্তি এসব বিষয়ে গুরুত্ব না দিয়ে সংস্কৃতি চর্চার নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নৃত্য আর গান পরিবেশন করে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে এক কুচক্রীমহল। লেখা নেই, পড়া নেই, নৃত্য, গান আর যৌন শিক্ষা এসবই যেনো কমিউনিষ্ট পাড়ার পড়াশোনা। ইতিহাস, ভূগোল, গণিত, ইংরেজি, আরবি, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, পৌরনীতি ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশোনা, সৃজনশীলতা আর মুখস্থ বিদ্যা, সবই যেনো নাট্যমঞ্চের কর্মশালা। এসব পড়াশোনা করে সার্টিফিকেট অর্জন ছাড়া আর কিছু নেই। পড়াশোনা শেষ করে আবার চাকরি পরীক্ষা, এসব যেনো মশকরা করার মতো অবস্থা। একজন শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণি থেকে অনার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করলো আর তাকে পুনরায় চাকরি পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করতে হয়? প্রথম শ্রেণি থেকে অনার্স পর্যন্ত সময়ে কিছু বিষয় পড়েছে আর অধিকাংশ ক্লাসে পড়ানোই হয়নি। তার মানে এতো বছর একজন শিক্ষার্থীকে সরকার কি পড়ালো?

সরকারের উচিত ছিলো সার্টিফিকেটের মান দেখে বা প্রথম শ্রেণি থেকে অর্নাস পর্যন্ত যা পড়ানো হয়েছে তার থেকে পরীক্ষা নিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা। যে পড়াশোনা চাকরি পরীক্ষায় কাজে আসে না কিংবা ব্যক্তি জীবনে কাজে আসে না এ পড়ালেখা শিখিয়ে কী লাভ? একজন পড়াশোনা করলো চারুকলা নিয়ে আর তাকে চাকরি নিতে হলো ব্যাংকে। এ পড়াশোনার কী লাভ? যে শিক্ষা মানুষকে শুধুমাত্র মুখস্থ বিদ্যা আর কলমের কালির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে সে শিক্ষা থেকে জাতি কি আশা করতে পারে? কারিগরি শিক্ষা আর ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাসহ নানা উপকারী শিক্ষাব্যবস্থা ১ম শ্রেণি থেকে হাতে কলমে পড়ানো হলে আজ বাঙালি জাতি শিক্ষা-দীক্ষায় কতোই না উন্নত হতো! যাক এ বিষয়গুলো না বলি। মোদ্দাকথা হলো-শিক্ষাব্যবস্থার বারোটা বাজিয়েছে আমাদের বুদ্ধিজীবি শিক্ষাবিদ এমপি, মন্ত্রী, আমলা আর বিদেশি বাবুরা। এসবের কারণে আমাদের ছেলেদের নীতি-নৈতিকতা আর গুরুভক্তি জিনিসটা দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে। আর বিজ্ঞানের কল্যাণে আমাদের ছেলেমেয়েরা মোবাইল আর ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে নিজেদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। মাঝখানে শিক্ষকেরা খেলার পুতুলে পরিণত হচ্ছেন। লোক সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার, মোমতাজ আলী খান তার গানের মধ্যে লিখেছেন, ‘যেমনি নাচাও তেমনি নাচি পুতুলের কি দোষ’। কতোক্ষণ সৃজনশীল, কতোক্ষণ অমুক প্রাণীর ডাক? এ হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা! শিক্ষক ট্রেনিং এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে অনেকসময় শিক্ষকেরা ট্রলের স্বীকার হয়। এসবের কারণে শিক্ষক সমাজ জনসাধারণ আর শিক্ষকদের কাছে ছোট হয়ে যাচ্ছে। আর শিক্ষকদের প্রতি মানুষের ভক্তি ও শ্রদ্ধা কমে যাচ্ছে। যার বাস্তব চিত্র আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। ছেলে মা-বাবাদের মারধর করতেছে, জবেহ করে দিচ্ছে, বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিচ্ছে। দুর্ব্যবহার তো স্বাভাবিক একটি বিষয়। এসব শিক্ষাব্যবস্থার কুফল ছাড়া কিছুই নয়। গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই আমরা দেখতে পেলাম, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা হচ্ছে, রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে নানাভাবে অপদস্থ করা হচ্ছে, জুতোর মালা গলায় পরিয়ে দেয়া হচ্ছে, চড়-থাপ্পড় আর কিল-ঘুষি দিয়ে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হচ্ছে। এসব কী করছে তরুণ সমাজ? একজন শিক্ষক হচ্ছে রাষ্ট্রতন্ত্রের দাস। কথাটি শুনতে খারাপ লাগতে পারে তবে এটিই চিরসত্য। এ যাবৎকাল কোনো শিক্ষক-রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীর ওপর অস্ত্র নিয়ে জনসম্মুখে গুলি করে মানুষ মেরেছে এ রকম কোনো নজির বাংলাদেশে নেই। তাহলে শিক্ষকদের কেনো অপদস্থ করবেন। একটি গল্প বলি-করিম নামের একজন ছেলে এনজিওতে কাজ করে। তার কাজ হচ্ছে নিয়মিত কিস্তি তোলা আর দেয়া। একদিন রেডিও, টিভিতে বলা হলো-১০ নং মহাবিপদ সংকেত। ঘূর্ণিঝরে মধ্যে মানুষ এদিক হতে ঐদিকে ছুটছে। আর কিস্তিওয়ালা নিরুপায় হয়ে কিস্তি আনতে যায় গ্রামে গ্রামে। রাজনৈতিক অস্থিরতা আর গোলাগুলির মধ্যেও জীবন হাতে নিয়ে কিস্তি তুলতে যেতে হয়। আরো একটি মজার গল্প করি-একজন ফুড ডেলিভারিম্যানকে শত ঝড় তুফান আর কারফিউ এর মধ্যেও ফুড ডেলিভারি দিতে হয় কিন্তু। এসব আয়োজন কিন্তু চাকরি বাঁচাতে কিংবা ক্ষুধার যন্ত্রণায়।

একজন বেসরকারি কোম্পানির কর্মচারী কোম্পানির কথা না শুনলে যেমন চাকরি থাকে না, তেমনিভাবে সরকারি চাকরিজীবীরা ক্ষমতাসীন দলের নির্দেশনা না মানলে চাকরি থাকে না। এ সমস্ত প্রমাণ বাংলাদেশে অহরহ। ২৪’র গণ-অভ্যত্থানের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন পরিষদকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলো-আপনারা এতো টাকা বিদেশে পাচারে কেনো সহায়তা করেছেন? উত্তরে তারা বলল, আমরা চুক্তিভিত্তিক চাকরি করি, এ কাজ না করলে আমাদের চুক্তি বাতিল হবে। দেখুন-দেশ জাহান্নামে যেতে পারে কিন্তু চাকরি বাঁচাতে হবে, এটাই হচ্ছে-আমাদের নীতি-নৈতিকতা। এসমস্ত বিষয় গুলোর গণতন্ত্রের সুশাসনের সুফল নাকি কুফল বুঝে আসে না। আর আমাদের শিক্ষকরাও রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে বারবার হেরে যান। এজন্য শিক্ষকদের রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে জোরপূর্রক পদত্যাগ করানোটা যতোটুকু যৌক্তিক আমার বোধগম্য হয় না। শিক্ষকদের কিন্তু শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ নেই। প্রতিমাসের বেতন নিয়ে মোটামুটি সংসার চলে।

  

এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অশুভ সংকেত। কারণ, শিক্ষকেরা হলেন-জাতির পিতা আর মেরুদণ্ড। মেরুদণ্ডহীন মানুষ যেমন বাঁচতে পারেনা অনুরূপে শিক্ষা ছাড়া জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারে না। একজন শিক্ষক হলেন- দ্বিতীয় পিতামাতা। আজ আমরা সে পিতামাতাকে আঘাত করছি, অসম্মান আর অপদস্থ করছি। ইসলামের আদর্শ হচ্ছে-কোনো শিক্ষক অন্যায় করলে তার বিচার করবে পর্দার ভেতরে, তবে জনস্মুখে নয়। একজন শিক্ষকের সম্মানহানি হওয়া মানে পুরো জাতির কলঙ্ক। যারা শিক্ষকদের সঙ্গে বেয়াদবি করে তারা জীবনে মানুষ হতে পারে না, তারা অমানুষ হয়ে বেঁচে থাকে। এদের কাছে পরিবারও নিরাপদ নয়। যেকোনো সময় পরিবারকেও তারা আঘাত করতে পারে। কারণ, যার মধ্যে নীতি নৈতিকতা নেই, সে মানুষ নয় বরং সে হিংস্র প্রাণী থেকেও ভয়ংকর । শিক্ষকেরা শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি চর্চা করেন না, কিন্তু ছাত্র রাজনীতির প্রভাবের কারণে বাধ্য হয়ে মান-সম্মানের ভয়ে ছাত্রদের পক্ষে রাজনৈতিক বক্তব্য বা অবস্থান নিতে হয়। এক কথায় তাল মিলিয়ে চলতে হয়। এজন্য কে দায়ী?

দুর্বল গণতন্ত্রের কারণে পুরো শিক্ষক সমাজ আজ জিম্মি। যার কারণে বাধ্য হয়ে শিক্ষকরা সরকার দলের সুনাম গায়। এজন্য শিক্ষককে দোষারোপ করা যাবে না। দোষারোপ করতে হবে দেশের রাজনীতিকে। বাংলাদেশের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে পদ মর্যাদা অনুসারে সবচেয়ে কম বেতনে চাকরি করে শিক্ষক সমাজ। তারা অল্পতেই তুষ্ট। খুবই সংকীর্ণ মন নিয়ে তারা জীবনযাপন করে থাকে। এসব নিরীহ মানুষদের গায়ে হাত তোলা কতোটা যৌক্তিক? শিক্ষকদের কোনো জাত নেই, কোনো ব্যানার নেই, কোনো দল নেই, তাদের একটি মাত্র দল আর তাহলো-শিক্ষক। যুগযুগ ধরে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক শিক্ষকদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। সরকারদলীয় লোকজদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র শিক্ষাঙ্গনে রাজরীতি সচল রাখতে। এজন্য রাজনীতি দায়ী। শিক্ষকদের মধ্যে যারা সরকার দলীয় ব্যানারে থাকে না তারাও চাকরি হারান। যে জাতি শিক্ষকদের জিম্মি করে রাখে, সে জাতির ধ্বংস অনিবার্য। শিক্ষকেরা খুবই নরম ও নীরব প্রকৃতির। তাদের ওপর জুলুম করাটা খুবই অন্যায়।

একটু বিশ্লেষণ করলে বুঝতে পারবেন-একটি ক্লাসের ৫ জন ছাত্র। এর মধ্যে একজন সামরিক অফিসার, একজন ভ্যাট ও ট্যাক্স অফিসার, একজন আইনজীবী, একজন ডাক্তার, একজন ব্যাংকার, একজন শিক্ষক। সবচেয়ে কম বেতনের ও সুযোগ-সুবিধায় নগণ্য হলো শিক্ষক। একজন সামরিক অফিসারের মাসিক বেতন ভাতা ও রেশন মিলে ১ লাখ টাকা। একজন শিক্ষকের মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ৫০ হাজার, আর একজন ভ্যাট অফিসারের বেতন ও ঘুষ মিলে মাসিক আয় সর্বনিম্ম ১ লক্ষাধিক, ১ জন আইনজীবীর সর্বনিম্ন মাসিক আয় ৫-৮ লাখ, ডাক্তারের মাসিক আয় সর্বনিম্ন ১ কোটি, ব্যাংকারের মাসিক আয় সর্বনিম্ন ৬০-৭০ হাজার। প্রতিটি পেশার মানুষের সঞ্চয় থাকে, কিন্তু একজন শিক্ষকের সঞ্চয় তো দূরের কথা নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তবে শিক্ষকেরা আর্থিক কষ্টে থাকলেও বেশভূষে থাকে খুবই পরিপাটি। এজন্য তাদের কষ্টটা দেখাও যায় না আবার অনুভবও করা যায়। একজন শিক্ষক চাইলে শিক্ষকতার পেশায় না এসে দুর্নীতিগ্রস্ত দপ্তর বা মন্ত্রণালয়গুলোতে চাকরি নিতে পারতেন, কিন্তু মহৎ পেশা হিসেবে এ পেশাকে বেছে নিয়েছেন। রাজনৈতিক কারণে শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ বা চাকরিচ্যুত করাটা চরম অন্যায়। যে বান্দা কারো রুজিরোজগারে ওপর হস্তক্ষেপ করে, মহাপরাক্রমশালী খোদা তাআলা তার রিজিক বন্ধ করে দেন এবং সে রিজিকহীন অবস্থায় দুনিয়া ত্যাগ করবে। জ্বলন্ত আগুনে হাত দিলে যেমন হাত জ্বলে যায়, তেমনি কারো রিজিকে হাত দিয়ে আল্লাহর গজব নাযিল হয়। আল্লাহ তাআলা-জালিমদের ছাড় দেয়, কিন্তু ছেড়েও দেয় না। মানুষের নৈতিক বা আদর্শিক পরাজয় হলে এমন জঘন্য কাজ করতে পারে। যার মধ্যে আদব নেই, সে বেয়াদব। বেয়াদব আল্লাহর রহমত থেকেও বঞ্চিত।

গত ৫ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রাজনৈতিক দখল করে নিয়েছে। ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারীদের দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃত্ত করা হচ্ছে। এ দোষ শিক্ষক ও কর্মচারীর নাকি রাজনীতির? কথায় আছে-লাল কুত্তা শিয়ালের ভাই, প্রতিটি রাজনৈতিক দল-মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। যারা ক্যাম্পাস দখল করেছে, তাদের পক্ষে শিক্ষকেরা সাফাই না গাইলে নিশ্চয়ই শিক্ষকদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। দিন শেষে বলির পাঁঠা হচ্ছেন শিক্ষকেরা। কোনো শিক্ষক অন্যায় করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে শিক্ষা অফিসার বরাবর জানালে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে যথাযথ শাস্তির বিধান কার্যকর করবেন। পদত্যাগ বা চাকরিচ্যুত করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজ। আমরা কেনো শিক্ষকদের সঙ্গে বেয়াদবি করবো? কেনো আমরা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করবো? যারা এ অন্যায়ভাবে শিক্ষকদের মনে কষ্ট দিয়েছে তারা জীবনে কিছুই করতে পারেনি। সাবধান! শিক্ষকদের সঙ্গে অহেতুক বাড়াবাড়ি ও বেয়াদবি নয়। জীবন শেষ হয়ে যাবে নিমিষেই। আসুন আমরা শিক্ষকদের সম্মান করি, শিক্ষিত সমাজ গড়ি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি।

লেখক: সাহিত্যিক ও গবেষক


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023770332336426