শিক্ষাব্যবস্থা একটি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা রূপায়ণের ও বিজ্ঞানমনষ্ক প্রতিযোগিতামূলক সমাজ বিনির্মাণের একমাত্র হাতিয়ার। কাজেই দেশের সবার জীবনে নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনের উপলব্ধি জাগানো, নানাবিধ সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা অর্জন এবং কাঙ্ক্ষিত নতুন সমাজ সৃষ্টির প্রেরণা সম্ভারই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার প্রধান দায়িত্ব ও লক্ষ্য। দেশে শিক্ষার স্তর দুটি প্রবাহে চালিত-প্রথমত, সাধারণ শিক্ষা ও দ্বিতীয়ত, ধর্মীয় ও মাদরাসা শিক্ষা।
শিক্ষাব্যবস্থা এ দুটি ধারায় তিনটি স্তরে বিন্যস্ত এবং সরকারি ও বেসরকারিভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
ক. প্রাথমিক শিক্ষা: শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক ভিত্তি প্রাথমিক শিক্ষা। এটি বয়স সাধারণত ছয় বছর হতে শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষা ৫ বছর মেয়াদি প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি সংযুক্ত করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক।
খ. মাধ্যমিক শিক্ষা: মাধ্যমিক শিক্ষার তিনটি পর্যায় রয়েছে। যথা-নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা। নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা, ষষ্ঠ শ্রেণি হতে অষ্টম পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা নবম আর দশম শ্রেণি এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা একাদশ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত।
গ. উচ্চ শিক্ষা: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও মেধা অনুযায়ী যেকোনো কোর্সে অর্থাৎ পাস, অনার্স ও অন্যান্য বৃত্তিমূলক উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ রয়েছে।
শিশু মনোবিজ্ঞানীদের মতে, শিশুর প্রথম হাঁটতে শেখার সঙ্গে আমদের শিক্ষাব্যবস্থার একটা মিল আছে, শিশু ভালোভাবে হাঁটতে শেখার আগে অনেকগুলো ধাপ পার হয়। প্রথমে বসতে শেখে, হামাগুড়ি দেয়, উঠে দাঁড়ায়, এরপর দৌড় দেয়। দৌড়ের প্রথমে দু-এক পা দিয়েই পড়ে যায়, উঠে আবার দৌড় দেয়, দৌড়ে কিছু দুর যেয়ে আবার থেমে যায়। আর কিছু শিশু আছে পড়ে যেয়ে উঠে দাঁড়ায়, তারপর আস্তে আস্তে হাঁটে তারপর দৌড় দেয়। পড়ে যেয়ে উঠে দৌড় দেয়া আর পড়ে যেয়ে আস্তে আস্তে হেঁটে তারপর দৌড় দেয়া দুটি শিশুর মধ্যে বিকাশের অনেক তারতম্য বিদ্যমান।
সরকারি প্রতিবেদনে অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আবার ঝরে পড়ার হার ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। প্রাথমিক স্তরে দৌড়টা ভালোভাবে শুরু করলেও মাধ্যমিক স্তরে যেয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে যার ফলে মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার ৩৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। প্রতিবছর যদি এই হারে শিশু ঝরে পড়ে বা পথভ্রষ্ঠ হয় তাহলে কিশোর গ্যাং সৃষ্টি অস্বভাবিক কিছু নয়। প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছু ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হলেও মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে নাজেহাল অবস্থা। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আজ পর্যন্ত আমরা একটা সঠিক মুল্যায়ন ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে পারিনি। শ্রেণিকক্ষে পাঠ ব্যবস্থাপনার অভাবে শিক্ষাব্যবস্থা একটা বাণিজ্য ব্যবস্থায় চলে যাচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হয় মাত্র তিন বা চার জন ব্যক্তির মাধ্যমে। প্রথম জন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, দ্বিতীয় জন অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার, আর তৃতীয় জন একজন অফিস সহকারী। কোথাও কোথাও সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আছেন। একটা উপজেলায় জুনিয়র, মাধ্যমিক, দাখিল, কলেজসহ পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত শতশত কিন্ডারগার্টেন নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। দু-একজন ব্যক্তি দিয়ে কীভাবে সম্ভব তা বোধগম্য নয়। আর নিয়োগ বাণিজ্যের কথা নাই বললাম।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হয়েছে। পাসের হার ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছেন। শিক্ষার্থীর সনদের মান বাড়ছে কিন্তু নিজের মান তলানিতে যেয়ে ঠেকছে। এ বিষয়ে একটা পরিসংখ্যান দেখাতে চাই। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৫৯ হাজার ৫০২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে শতকরা ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছিলেন। ফেল করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ হাজার ৮৮৬ জন শিক্ষার্থী এসএসসি এবং ১৬ হাজার ৬৮জন শিক্ষার্থী এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন। আবার উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১১ হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীকে আমরা সর্ব্বোচ্চ মেধাবী বলে বিশ্বাস করি। তাদের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে অন্যদের বেলায় ‘আমি তো পরীক্ষা দিতে চাইনি, স্যারেরা পরীক্ষা ও পাসের ব্যবস্থা করলে, আমার তাতে দোষ কিসের’।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন (লেইস) প্রজেক্ট গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৩ হাজার ৫ শত ৪ দশমিক ০৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে মাধ্যমিক পর্যায়ের মোট ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৮৯০ জন শিক্ষকের প্রশিক্ষণ, শিখন ঘাটতি পূরণ ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ১০ হাজার ৩৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুইটি করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হবে। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ মে প্রজেক্টের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
কোভিড-১৯ মহামারি শিক্ষার চলমান উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে, বিশেষত মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শিখন ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। লেইস প্রজেক্ট ৩টি মূল লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে বাস্তবায়িত হবে: মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শিখন ত্বরান্বিত ও ধরে রাখার হার বৃদ্ধি, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থার সহনক্ষমতা উন্নয়ন।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে মাধ্যমিক পর্যায়ের মোট ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৮৯০ জন শিক্ষককে (মাধ্যমিক স্কুলে ২ লাখ ৭০ হাজার ৮১০জন ও মাদরাসা স্তরে ৯৭ হাজার) বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ, নতুন শিক্ষকদের জন্য বেসিক প্রশিক্ষণ, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য (স্কুল ও মাদরাসা) লিডারশীপ প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন, কাউন্সেলিং ও বুলিং প্রতিরোধ বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, ব্লেন্ডেড লার্নিং বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, লাইব্রেরিয়ানদের জন্য প্রশিক্ষণ, শিক্ষকদের জন্য আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে শিক্ষক প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মাধ্যমিক পর্যায়ের ১০ হাজার ৩৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (৬ হাজার ৯২৮টি স্কুল ৩ হাজার ৪১২টি মাদরাসা) প্রতিটিতে ২টি করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মোট ২৯ হাজার ৫৮৫টি প্রতিষ্ঠানে (মাধ্যমিক স্কুল ১৮ হাজার ৮৯৪, স্কুল ও কলেজ ১ হাজার ৪২০ এবং মাদরাসা ১ হাজার ২৯১) লাইব্রেরির অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। এ ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৯ হাজার ৫৮৫টি প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ করা হবে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো জানার পর আমাদের মনে হয় মাধ্যমিক বিদ্যালয় তথা মাধ্যমিক শিক্ষাকে ঢেলে সাজানোর একটা সম্ভাবনা আছে। আমরা দেখেছি প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ১৪ দশমিক ১৫, সেখানে মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার ৩৬ দশমিক ৯৭ অর্থাৎ দ্বিগুণেরও বেশি। মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার পর্যালোচনায় দেখা যায় ছেলেদের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা আর মেয়েদের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতাকে মেয়ের বড় হয়ে যাওয়ার দোহাই দিয়ে বাল্যবিয়ের মতো সামাজিক ব্যাধিতে যেয়ে আটকে যায়। এ সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি বিদ্যমান গ্রামে। বলা বাহুল্য যে বর্তমানে মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে যে টানাপোড়েন চলছে, মূল্যায়ন নিয়ে যে দ্বীধাহীনতা তৈরি হচ্ছে তার শেষ কোথায় বলা মুশকিল। আর এই আঘাতটা সবচেয়ে বেশি লাগছে গ্রামের স্কুলগুলোতে। কেনোনা কেউ স্বীকার না করলেও সত্যি যে গ্রামের স্কুলগুলোতে বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি শিক্ষকের বড় অভাব রয়ে গেছে, আগেও ছিলো বর্তমানে আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। ছোট্ট একটা কথা বলি, গ্রামের একটা স্কুলে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব প্রদান করা হয়েছিলো। ল্যাবের ল্যাপটপ গুলো সবাই ঘাড়ে করে বাড়ি নিয়ে যেতো। পরের দিন আবার স্কুলে নিয়ে আসতো, আর ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে নাটক দেখতো। মাঝে মধ্যে কিছু অতি উৎসাহী কম্পিউটার শিক্ষক শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে সরাসরি ইউটিউব থেকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে কনটেন্ট দেখাতো কিন্তু যেসব শিক্ষকরা প্রতিদিন ঘাড়ে করে ব্যাগটা আনতো আর নিয়ে যেতো তাদের কটুক্তির কারণে উৎসাহী শিক্ষক আশাহত হয়ে তাদের দলে চলে গেলেন। কিছুদিন যেতে না যেতে ল্যাব চিরদিনের জন্য তালাবদ্ধ হয়ে গেলো। ল্যাপটপগুলো যথেচ্ছা ব্যবহার আর অযত্নের ফলে আয়ু হারালো। সেখানে এখন চার পাঁচজনকে নিয়ে বিজ্ঞানের ক্লাস নেয়া হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক জায়গায় বিশেষত উপকূলীয় এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষাকে আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করার জন্য স্কুলে ৫৬ ইঞ্চি ৩ টি মনিটর, ৩টি ল্যাপটপ, ১টি আইপিএস, ১টি প্রিন্টার দেয়া হয়। অ্যাপস এর মাধ্যমে প্রাথমিকের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক কনটেন্ট শিশুদের দেখানো হতো। নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ, আইসিটি শিক্ষক না থাকা, অন্য শিক্ষকদের আইসিটি সর্ম্পকে সাধারণ ধারণা না থাকা ও উপযুক্ত ইন্টারনেট সংযোগ না পাওয়ার কারণে সেগুলো বন্ধ হওয়ার পথে।
দুটি সম্ভাবনা শুধুমাত্র গ্রাম বলে আর শিক্ষকদের আন্তরিকতা, সচেতনতা ও ভালোবাসার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে এবং পড়ছে। ব্যানবেইস এর তথ্যমতে, দেশে গ্রামীণ জনপদে মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ১৫ হাজার ৪২০টি। শিক্ষক আছেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৭৬ জন যা মোট শিক্ষকের ৬৬ দশমিক ৮৬ জন। শতকরা ৪০ জন শিশু আসে ভূমিহীন ও দিনমজুর পরিবার থেকে। অভিভাবকের উপার্জনের হিসেবে দেখা যায় ৫৫ দশমিক ৪০ শতাংশ শিশু আসে কৃষক ও দিনমজুর পরিবার থেকে। স্কুলের অবস্থানের দিকে সীমান্তবর্তী এলাকা, চর, হাওর, বাওর, পাহাড়, নদীবেষ্টিত। পানি জমে এমন জায়গা ও লবনাক্ত এলাকায় আছে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ স্কুল।
লেইস প্রজেক্টের অধীনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ভিত্তিক, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ, পেশাগত উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, সঠিক নেতৃত্ব দানের প্রশিক্ষণ শুরু হতে চলেছে। সবার মতো আমিও আশাবাদী, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য একটা সুবর্ণ সুযোগ নিজেকে প্রস্তুত করা। তবে প্রজেক্ট সংশ্লিষ্ট সবার একটা বিষয় নজরে আনা অত্যন্ত জরুরি, ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের আগে নিয়োগপ্রাপ্ত অনেক শিক্ষক আছেন যারা বর্তমান ব্যবস্থার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে যেয়ে নিজেকে গুলিয়ে ফেলছেন। তারা আবার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের শিক্ষক। তাই তাদেরকে বেশি করে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে লাখ লাখ শিশুর উজ্জল ভবিষ্যৎ গঠনে ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবেন। আর এই সংখ্যাটা বেশি বিদ্যমান গ্রামীণ জনপদে যেখানে আছে মোট শিক্ষকের ৬৭ শতাংশ। পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন যেনো লোক দেখানো, বা ‘ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে’র মতো না হয়।
লেখক: শিক্ষা সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন সহযোগী সংস্থায় কর্মরত